![](https://ncbd.org/wp-content/themes/ncbd_tapon/images/corner-cap.png)
Saturday, February 15th, 2014
সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ দুর্নীতি, জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাংবাদিক সম্মেলনে সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দুর্নীতি ও অস্বচ্ছতাযুক্ত জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তিসমূহ বাতিল করে বিদ্যুৎ সংকটের টেকসই সমাধানে জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে আবারো আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বুধবার ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রতিবাদ ও দাবি সমাবেশ হবে। আগামী মার্চ মাসে বিভিন্ন পর্বে দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর ও জনসংযোগ এবং সফরের পর মার্চ মাসের শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আজ সকালে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় কমিটির আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতীয় কোম্পানির বিরাট মুনাফা নিশ্চিত করতে সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প অব্যাহত রাখা হয়েছে। দেশের স্বার্থে এর প্রতিরোধে যে কোন কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।’
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সামনে রেখে মন্ত্রী সাংসদ সহ ক্ষমতাবানরা সুন্দরবন এলাকায় জমি দখলের শকুনি তৎপরতায় নেমেছে। দেশি বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থে পরিচালিত না হলে সরকারের অগ্রাধিকার হতো রামপাল ও রূপপুর প্রকল্প বাতিল করা এবং জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংকটের টেকসই সমাধান।’
লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেন, ‘মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি কনোকো-ফিলিপস, ভারতীয় ওএনজিসি, নরওয়ের স্টেট অয়েল এবং সিঙ্গাপুর ভিত্তিক কৃষ এনার্জির সাথে সংশোধিত মডেল পিএসসি ২০১২ অনুসারে সরকার গভীর ও অগভীর সমুদ্রের বিভিন্ন গ্যাস ব্লকের যে ইজারা চুক্তি করতে যাচ্ছে তাতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হবে না। এই রকম মডেলে চুক্তি সম্পাদন করলে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ যে শুধু বিদেশি কোম্পানির দখলে চলে যাবে তাই নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পায়নের জন্য গ্যাস সম্পদকে কাজে লাগানোও সম্ভব হবে না।’ সাংবাদিক সম্মেলনে এশিয়া এনার্জি বহিষ্কারসহ ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করে জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে কয়লা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের গ্রহণযোগ্য পথ পদ্ধতি নির্ধারণের আহবান জানানো হয়।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, নুর মোহাম্মদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাগিব আহসান মুন্না, জোনায়েদ সাকী, এড. আবদুস সালাম, সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, আজিজুর রহমান, এড. শ্যামল কান্তি দে, ডা. সামছুল আলম, ফখরুদ্দীন কবির আতিক প্রমুখ।