?> ‘সুন্দরবন ধ্বংস, বঙ্গোপসাগর দখল, উত্তরাঞ্চল ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থে কোন প্রকল্প করতে দেয়া হবে না’ « NCBD – National Committee of Bangladesh

Thursday, December 19th, 2013

‘সুন্দরবন ধ্বংস, বঙ্গোপসাগর দখল, উত্তরাঞ্চল ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থে কোন প্রকল্প করতে দেয়া হবে না’

১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘ভারতের উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা এবং ফুলবাড়ী ও রামপাল আন্দোলন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্স। এ সময় জাতীয় কমিটির সংগঠক নুর মোহাম্মদ, বজলুর রশীদ ফিরোজ, আব্দুস সাত্তার, নাসির উদ্দিন নসু, জাহিদুল হক মিলু, সুবল সরকার, শামছুল আলম, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, নাসরিন সিরাজ এ্যানি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সাংবাদিকসহ উপস্থিত সুধীবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ও মতামত শোনেন জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

সভায় ভারতের উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, ভারতের ঝাড়খন্দ, উত্তর প্রদেশ ও মধ্য প্রদেশের উন্মুক্ত খনি ও কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভিজ্ঞতা থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ঐ অঞ্চলের পাথুরে মাটি, কম পানি ও কম জনবসতি সত্ত্বেও ঐসব অঞ্চলে মানুষ ও পরিবেশ যেভাবে পানি শূন্যতা, কাজের অভাব, শিক্ষা-স্বাস্থ্য বিপর্যয় এবং এসব কারণে সেখানে অকাল মৃত্যু, জন্মগত পঙ্গুত্ব বাড়ছে তাতে বাংলাদেশে এ ধরনের প্রকল্প কল্পনা করা যায় না।

তিনি বলেন- সরকার যেই হোক, কোন অজুহাত বা সুযোগে সুন্দরবন ধ্বংস করে, বঙ্গোপসাগর দখল করে এবং     উত্তরাঞ্চল ধ্বংস করে দেশি-বিদেশি লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থে কোন প্রকল্প করতে দিতে পারি না। দেশপ্রেমিক কোন মানুষই এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞকারী প্রকল্প বরদাস্ত করতে দেয়া হবে না।

প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন- বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতায় বা ক্ষমতার পালাবদলে যারা থাকবেন বা আসবেন এদের অবস্থান হবে জনস্বার্থবিরোধী। তাই আন্দোলন অব্যাহত রেখে দেশ ও দেশের সম্পদ রক্ষা করতে হবে। তিনি জাতীয় কমিটির ৭ (সাত) দফা বাস্তবায়ন করে দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানসহ জাতীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, যে উন্নয়ন দর্শন মানুষ ও পরিবেশ বান্ধব নয়- ঐ উন্নয়ন শেষ বিচারে দেশ ও মানুষের ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হয়। তাই সুন্দরবন ও ফুলবাড়ী ধ্বংসকারী প্রকল্প জনগণ রুখে দাঁড়াবে।

সভায় জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ও দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।