
Saturday, September 28th, 2013
লংমার্চ শেষে জাতীয় কমিটির ‘সুন্দরবন ঘোষণা’
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা প্রেসক্লাব থেকে রওনা হয়ে সাভার, রানা প্লাজা, জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ, গোয়ালন্দ, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কালিগঞ্জ, যশোর, নওয়াপাড়া, ফুলতলা, দৌলতপুর, খুলনা, বাগেরহাট, গৌরম্ভা বাজার, চুলকাঠি হয়ে পাঁচ দিনে চার শত কিলোমিটার অতিক্রম করে আমরা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে বৃহত্তর সুন্দরবনের দিগরাজে উপস্থিত হয়েছি। সুন্দরবন রক্ষাসহ সাত দফা আদায়ের এই লংমার্চের প্রস্তুতিকালে এবং লংমার্চের সময় কালে বহু লক্ষ মানুষ আমাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। লংমার্চে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের সকল শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিত্বকারী মানুষ। বহুসংখ্যক সংগঠনের মধ্যে লংমার্চে অংশ নিয়েছে বামপন্থী প্রগতিশীল দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, কৃষক-শ্রমিক-নারী-ছাত্র-যুব-শিশু-কিশোর-বিজ্ঞান সংগঠন, গানের দল, নাটকের গ্রুপ, চলচ্চিত্র সংগঠন, পাঠচক্র, লিটল ম্যাগাজিন; অংশ নিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-বিজ্ঞানী-প্রকৌশলী-পেশাজীবী-শিল্পী-লেখক-সাংবাদিক –চলচ্চিত্র নির্মাতা-কৃষক-শ্রমিক-নারী-পুরুষ।
সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলসহ বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে জাতীয় কমিটির সাত দফা বাস্তবায়নের দাবী নিয়ে এই লংমার্চ সংগঠিত হয়। সরকার যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ও উন্নয়ণের নামে ধ্বংস ও দখলের মাধ্যমে সুন্দরবনের উপর মুনাফাখোরদের এক হিংস্র আগ্রাসনের আয়োজনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তখন জনগণ তার সার্বভৌম অধিকার বলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের দুর্গ তৈরি করছেন। এই লংমার্চ সেই প্রতিরোধের অংশ।
সুন্দরবন শুধু কিছু গাছ আর কিছু পশু-পাখি নয়। সুন্দরবন অসংখ্য প্রাণের সমষ্টি এক মহাপ্রাণ, অসাধারণ জীববৈচিত্রের আধার হিসেবে অতুলনীয় প্রাকৃতিক রক্ষাবর্ম, বিশ্বঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। এই সুন্দরবন শুধু লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার সংস্থান করেনা, সিডর-আইলার মতো প্রতিটি প্রাকৃতিক দু্র্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনও রক্ষা করে। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল অংশকে রক্ষা করে প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয়ের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি থেকে।
ভারতের এনটিপিসি’র সাথে বাংলাদেশের পিডিবি যৌথভাবে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তা অসম, অস্বচ্ছ এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মানুষ ও প্রকৃতির অপূরণীয় ক্ষতি ছাড়াও বাংলাদেশের শুধুমাত্র আর্থিক ক্ষতি হবে ৬ লক্ষ কোটি টাকা। এছাড়া পরিবেশ সমীক্ষার নিয়মাবলী অস্বীকার করে আগে ভূমি অধিগ্রহণ, নির্যাতনমূলকভাবে মানুষ উচ্ছেদ, হাইকোর্টের রুল অগ্রাহ্য করা এবং পরবর্তীতে স্ববিরোধী, ত্রুটিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ, অসংগতিপূর্ণ এক পরিবেশ সমীক্ষা প্রণয়ণ ইত্যাদি সবকিছুই প্রমাণ করে যে, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এই কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় দেশি বিদেশি গোষ্ঠী মরিয়া। কিন্তু সুন্দরবন নিয়ে স্বাধীন গবেষণা ও অনুসন্ধান থেকে এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় যে, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুন্দরবন মহাবিপর্যয়ের শিকার হবে, এবং পুরো বাংলাদেশকেই অরক্ষিত করে ফেলবে।
বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণা থেকে জানা যায় যে, এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৫২ হাজার টন বিষাক্ত সালফার ডাইঅক্সাইড, ৩০ হাজার টন নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাশ ও ২ লক্ষ টন বটম অ্যাশ উৎপাদিত হবে। এছাড়া পশুর নদী থেকে ঘন্টায় ৯১৫০ ঘনমিটার হারে পানি প্রত্যাহার, তারপর বিপুল বেগে পানি আবার নদীতে নির্গমন, নির্গমনকৃত পানির তাপমাত্রা ও পানিতে দ্রবীভূত নানান বিষাক্ত উপাদান নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ, পানির প্লবতা, পলি বহন ক্ষমতা, মৎস্য ও অন্যান্য প্রানী ও উদ্ভিদের জীবনচক্র ইত্যাদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, গোটা সুন্দরবনের জলজ বাস্তুসংস্থান ধ্বংস করবে। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে কয়লা পরিবহন, জাহাজ থেকে নির্গত তরল কঠিন বিষাক্ত বর্জ্য, জাহাজ নিঃসৃত তেল, শব্দ, তীব্র আলো ইত্যাদি সুন্দরবনের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ও জীব-বৈচিত্র বিনষ্ট করবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সরকার প্রচারিত প্রেসনোটে জাতীয় কমিটির বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলা হয়েছে। লংমার্চের আগে বিভিন্ন সময় জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্য ও যুক্তি সংবাদ সন্মেলন, সেমিনার, গণশুনানি ইত্যাদির মাধ্যমে তুলে ধরা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কখনোই তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য ও যুক্তিভিত্তিক উত্তর দিতে দেখা যায়নি। লংমার্চকে কেন্দ্র করে সারা দেশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠায় শুরু হয়েছে অপপ্রচার। কিন্তু আমাদের বিশ্লেষণ, তথ্য ও যুক্তি খন্ডন করতে ব্যর্থ হয়ে ভুল তথ্য ও মিথ্যাচার ছাড়া আর নতুন কিছুই এতে যোগ হয়নি।
প্রেসনোটে রামপাল প্রকল্পের দূরত্ব সুন্দরবন থেকে ১৪ কিমি কিন্তু ‘ইউনেস্কো ন্যাশনাল হেরিটেজ’ সাইট থেকে ৭২ কিমি বলে উল্ল্যেখ করে প্রকল্পটিকে ‘নিরাপদ দূরত্বের’ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাস্তবে ‘ইউনস্কো ন্যাশনাল হেরিটেজ’ বলে আলাদা কিছু নেই, যা আছে তা হলো ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ সাইট যা সুন্দরবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফলে সুন্দরবনের কোন একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে নদী-খালের জালের মাধ্যমে গোটা সুন্দরবনই ক্ষতিগ্রস্থ হবে যা থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটও রক্ষা পাবেনা। কাজেই সুন্দরবন ১৪ কিমি দূরে আর ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ৭২ কিমি দূরে উল্ল্যেখ করে রামপাল প্রকল্পকে নিরাপদ বলাটা জনগণের সাথে প্রতারণার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। আরেকটি বিষয় হলো, সরকার কথিত ‘ইউনেস্কো ন্যাশনাল হেরিটেজ’ সাইটের অংশ দিয়েই কয়লা ভর্তি জাহাজ চলাচল করবে বলে তা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে গোটা সুন্দরবনটাই যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সেখানে, সুন্দরবনের কোন একটি বিশেষ অংশ থেকে ৭২ কিমি দূরে বলে সেটাকে নিরাপদ প্রমাণ করার চেষ্টা হাস্যকর, প্রতারণামূলক। সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যাবহারের ফলে ক্ষতিকর কার্বন, সালফার, ফ্লাই অ্যাশ ও অন্যান্য বায়ু দূষণের উপাদান ন্যূনতম পর্যায়ে থাকার দাবীটিও প্রতারণাপূর্ণ কেননা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যাবহারের ফলে এসব বিষাক্ত উপাদান উদগীরণ সাব ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির তুলনায় মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ কম হবে যা ক্ষতির মাত্রার তুলনায় সামান্য।
যে ভারত তার নিজ দেশে সুন্দরবনের ১৬ ভাগের একভাগ আয়তনের রাজীব গান্ধি ন্যাশনাল পার্ক এবং ৯০০ ভাগের একভাগ আয়তনের পিচাভারম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ২৫ কিমি সীমার মধ্যে তাপ ভিত্তিক কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে পারেনি, সেই ভারত বাংলাদেশে সুন্দরবনের মতো একটি বিশ্ব ঐতিহ্য, জীব বৈচিত্রের অফুরন্ত আধার, রামসার সাইট এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ বলে ঘোষিত পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের মাত্র ১৪ কিমি এর মধ্যে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের একটি বিশাল তাপ ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে!
গত দেড় দশকে জাতীয় কমিটির আন্দোলনের একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হচ্ছে স্বল্প মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের এক টেকসই ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক জ্বালানি যদি জাতীয় মালিকানায় থাকে, যদি খনিজ সম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা যায়, যদি নবায়ণযোগ্য-অনবায়ণযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রসমূহ সম্প্রসারিত করা যায়, যদি এসব কাজ করায় জাতীয় সক্ষমতার বিকাশকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় তাহলে অতিদ্রুতই বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়া সম্ভব এবং কৃষি-শিল্পে বড় ধরণের পরিবর্তন সম্ভব। আগের সরকারগুলোর ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারও এ পথে না গিয়ে দেশী বিদেশী লুটেরা গোষ্ঠীকে ব্যাবসা দেয়া এবং কমিশনভোগী তৎপরতায় নিয়োজিত থাকায় বিদ্যুৎ এর সংকট বিদ্যমান আছে। বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের কথা বলে সরকার যেসব পথ নিচ্ছে, তাতে দেশী বিদেশী বিদ্যুৎ ব্যাবসায়ী ও লুটেরা গোষ্ঠী লাভবান হলেও দেশের জনগণের উপর আরো বোঝা চাপানো হয়েছে এবং নতুন নতুন বিপদের ঝুকি তৈরী করা হচ্ছে। এই লংমার্চ বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের জন্য তাই অবিলম্বে পিএসসি ২০১২ বাতিল, ফুলবাড়ি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধকরণসহ জাতীয় কমিটির সাত দফা বাস্তবায়নের দাবী জানাচ্ছে।
আমরা বারবার বলি বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে, সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু সরকারি ভুল নীতি, দুর্নীতি ও মুনাফামুখী আগ্রাসনে সুন্দরবন ক্রমান্বয়ে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিতে যাচ্ছে মরণ আঘাত। ভারতীয় কম্পানির সীমাহীন মুনাফার জন্য, দেশী ভূমি দস্যুদের বনভূমি দখল অবাধ করবার জন্য আমাদের অস্তিত্বের অংশ সুন্দরবন ধ্বংস হতে দিতে পারি না। শুধু ভারত নয়, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া অন্য যে কোন দেশের নামেই আসুক না কেনো, কোন দখলদার লুটেরাদের হাতেই বাংলাদেশকে আমরা ছেড়ে দিতে পারিনা। কোন সাম্রাজ্যিক পরিকল্পনার ফাঁদে বাংলাদেশকে ফেলতে আমরা দিতে পারি না।
টিপাইমুখ বাধ প্রতিরোধে যেমন উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম মনিপুরের জনগণের সাথে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের যোগসূত্র আছে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশ জুড়ে থাকা এই সুন্দরবন ধ্বংসের রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই ভাবে শুধু রামপাল বা বাংলাদেশের জনগণই নয়, ভারতীয় এমনকি সারা দুনিয়ার সংগ্রামী জনগণের পারস্পরিক সংগ্রামের আন্ত:সংযোগ গড়ে তোলা দরকার। তার লক্ষণও আমরা দেখতে পাচ্ছি।
সরকারের কাছে আমাদের দাবী অবিলম্বে এই সুন্দরবন ধ্বংস করার প্রকল্প বাতিল করতে হবে। সুন্দরবনকে সুস্থ ও পুনরুৎপাদনক্ষম অবস্থায় বিকশিত করার জন্য ‘সুন্দরবন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ২২ অক্টোবরের ভিত্তি প্রস্তরের ঘোষণা দিয়ে কোন লাভ হবে না, জনগণ এই প্রস্তর উপড়ে ফেলবে। প্রেসনোটে মিথ্যাচার করেও কোন লাভ হবে না, এতে সরকারের প্রতারণা, জালিয়াতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অবস্থান আরো উন্মোচিত হবে। এই লংমার্চ সুস্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছে যে, আগামী ১১ই অক্টোবরের মধ্যে সরকার যদি ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপনের কর্মসূচী প্রত্যাহার না করে তাহলে ১২ই অক্টোবর সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
আমরা বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, লেখক, শিল্পী, শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, শিক্ষকসহ সমাজের সকল স্তরের নারী-পুরুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে জাতীয় প্রতিরোধ জোরদার করব। দেশবাসীর প্রতি আমরা আহবান জানাই সুন্দরবন বহুভাবে আমাদের রক্ষা করে, আসুন আমরা সুন্দরবন রক্ষা করে তার ঋণ শোধ করি। কোনভাবেই এই মহাপ্রাণ, মাতৃমূর্তি সুন্দরবনকে কোনোভাবেই দেশি বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠীর মুনাফার বলি হতে দেবো না।
দিগরাজ, বৃহত্তর সুন্দরবন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি