?> পিএসসি ২০১২ সংশোধনী বাংলাদেশকে ভয়াবহ বিপদ ও ক্ষতির সম্মুখিন করবে « NCBD – National Committee of Bangladesh

Thursday, September 5th, 2013

পিএসসি ২০১২ সংশোধনী বাংলাদেশকে ভয়াবহ বিপদ ও ক্ষতির সম্মুখিন করবে

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস ব্লকগুলো বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার ধারাবাহিক আয়োজন চলছে। উৎপাদন বন্টন চুক্তি বা পিএসসি ২০১২ সংশোধন তার সর্বশেষ ধাপ।

এই সংশোধনী মন্ত্রীসভা অনুমোদন করে প্রমাণ করেছে যে, বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ সংরক্ষন করতে গিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা বিপন্ন করতেও সরকারের দ্বিধা নেই। এই সংশোধনি করা হয়েছে বিদেশি কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ি। তাদের কাছ থেকে গ্যাস কেনার দাম প্রায় দ্বিগুন বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বছর এটা অবিরাম বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। গ্যাস সম্পদের উপর বিদেশি কোম্পানির অংশীদারিত্ব শতকরা ৫৫ থেকে ৭০ ভাগ করা হয়েছে। সকল শুল্ক ও কর থেকে তাদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। গ্যাস সম্পদ তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির অনুমতি দিয়ে ইচ্ছামতো দামে গ্যাস বিক্রির অধিকার দিয়ে পুরো গ্যাস অর্থনীতির উপর বহুজাতিক কোম্পানির একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য পিএসসি ২০১২ সংশোধনীর অর্থ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ বাংলাদেশকে কিনতে হবে আমদানী করা গ্যাসের চাইতে বেশি দামে।

যে বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের ভবিষ্যত জ্বালানি নিরাপত্তার প্রধান অবলম্বন তার গ্যাস সম্পদ বাংলাদেশের জন্য বোঝা হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে। পুরো অর্থনীতি অনেকবেশি ব্যয়বহুল দুর্বল ও ভয়াবহ বিপদাপন্ন হবে। এই পিএসসি ২০১২ ভিত্তিক চুক্তি আমরা এই সংশোধনীর তীব্র নিন্দা জানাই এবং পিএসসি প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানাই। এই লক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি আগামি ২৪-২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য লংমার্চের সঙ্গে একাত্ম হয়ে বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ রক্ষা করে বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানাই।