?> নাইকোর কাছ থেকে ৭৪৬ কোটি নয়, ২২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে « NCBD – National Committee of Bangladesh

Thursday, August 22nd, 2013

নাইকোর কাছ থেকে ৭৪৬ কোটি নয়, ২২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে

গত ২১ আগষ্ট সন্ধ্যায় গ্রীণরোডের জাহানারা গার্ডেনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, রাগিব আহসান মুন্না, জোনায়েদ সাকী, এড. আবদুস সালাম, মোশারফ হোসেন নান্নু, মীর মোফাজ্জেল হোসেন মোস্তাক, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, সুবল সরকার, মাসুদ খান, সামছুল আলম, প্রমুখ।

সভায় নাইকোর কাছ থেকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় ও তাদের সাথে করা দুর্নীতি মূলক জেভিএ চুক্তি বাতিল করে অবিলম্বে জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলন শুরুর দাবি জানানো হয়। সভায় উল্লেখ করা হয় যে, টেংরাটিলা ও নাইকোর ক্ষতি ৭৪৬ কোটি টাকা নয়, প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। সুতরাং শুধুমাত্র গ্যাসসম্পদের ক্ষতিপূরণ ধরলেও এই পরিমাণ অর্থ নাইকোর কাছ থেকে আদায় করতে হবে। ২০০৫ সালের দুর্ঘটনার পর তৎকালীন সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করে তা নাইকোর দায় কমানোর জন্য ক্ষতি অনেক কম করে দেখিয়েছিলো। তারা গ্যাস নষ্ট দেখিয়েছিলো ৩ বিলিয়ন ঘনফুট, আর সেসময় বিশেষজ্ঞরা ভিন্ন কমিশন করে গ্যাসসম্পদের ক্ষতি নিরূপণ করেছিলেন  কমপক্ষে ২৪২ বিলিয়ন ঘনফুট।

সভায় বঙ্গোপসাগরে বিদেশি কোম্পানির সাথে উৎপাদন বন্টন চুক্তি বা পিএসসি আবারো সংশোধনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, মাত্র কয়েক শ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ পাবার অজুহাতে লক্ষ কোটি টাকার গ্যাস সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেবার চক্রান্ত জনগণ মানবে না।

সভায় আগামী ২৬ আগষ্ট দেশব্যাপী ফুলবাড়ী দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়। এইদিন কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে ফুলবাড়ীতে সকাল ৯টায়। ২০০৬ সালের এই দিনে ফুলবাড়ীর মানুষ জীবন দিয়ে দেশকে এক ভয়ংকর ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা করেছিলেন। সভায় সরকারের প্রতি রক্তে লেখা ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ  বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

এছাড়া সভায় ভুল জালিয়াতিপূর্ণ ইআইএ অনুমোদন করে সুন্দরবন বিধ্বংসী প্রকল্প নিয়ে সরকারের অতিতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আগামী ২৪ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ঢাকা-সুন্দরবন লংমার্চ সফল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সভায় আশা প্রকাশ করা হয় যে, বাংলাদেশ ও ভারতের সজাগ মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দরবনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবেন।