?> রামপাল, রূপপুর ও বাজেট ২০১৯-২০ « NCBD – National Committee of Bangladesh

Saturday, June 22nd, 2019

রামপাল, রূপপুর ও বাজেট ২০১৯-২০

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সরকার বিভিন্ন ব্যয়বহুল প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, সরকার উন্নয়নের নামে এমন অনেক প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যেগুলো দীর্ঘমেয়াদে দেশের জন্য শুধু আর্থিক বোঝাই সৃষ্টি করবে না, প্রাণ প্রকৃতি বিনাশ করে দেশ ও জননিরাপত্তাকে বিপর্যস্তও করবে। যেমন উন্নয়নের কথা বলেই সরকার এখনও সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বদরবারে মিথ্যাচার করে আরও তিন শতাধিক, সুন্দরবন ও উপক’লীয় অঞ্চলের জন্য, বিপজ্জনক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রামপাল প্রকল্প নিয়ে সরকার জনগণের কাছে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, ইউনেস্কোকে দেয়া বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে হেয় করেছে। সরকারের এই ভূমিকায় একদিকে বাংলাদেশ অরক্ষিত হচ্ছে অন্যদিকে সুন্দরবন তার বিশ্ব ঐতিহ্য মর্যাদা হারাতে বসেছে।

২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পেয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই প্রকল্পের নির্মাণে ১৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৮-২০১৯) সংশোধিত বাজেটে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ রয়েছে ১১ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা। এদিকে মহেশখালীর মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটিতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ছাপান্ন কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ আছে ২ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা।

এখানে উল্লেখ্য যে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্বাভাবিক খরচের বিষয়টি ইতিমধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানি, ২০১০ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছিল ৩২ হাজার কোটি টাকা। গত ৯ বছরে এই খরচ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ১৮ হাজার কোটি টাকা, যা বাংলাদেশের মোট বাজেটের ৫ ভাগের এক ভাগ। এখানে উল্লেখ্য যে, রুপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজে ফিক্সড কস্ট মডেলের পরিবর্তে নির্মাণ চুক্তি হয়েছে ‘কস্ট প্লাস’ মডেলে। এর ফলে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রোসাটমের পক্ষে খরচের অঙ্ক দফায় দফায় বাড়িয়ে দেয়া সম্ভব হবে।

অন্যান্য দেশেও পারমাণবিক বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধির অভিজ্ঞতা নতুন নয়। ফুকুশিমা দুর্ঘটনার পর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থায় আরো বাড়তি নিরাপত্তা অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ালে প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় বহুগুন বেড়ে যাওয়ার আশংকা তৈরী হয়। ২০১৬ সালে ভিয়েতনাম সরকার পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে রাশিয়া এবং জাপানের সঙ্গে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি বাতিল করেছে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রাক্কলিত খরচ ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ বিলিয়ন ডলার।

তাইওয়ান ১৯৭৯ সাল থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আসছে। কিন্তু অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য নিরাপত্তা জনিত সংকটের কারণে তাইওয়ান সরকার প্রেসিডেন্সিয়াল ডিক্লারেশনের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে সেই দেশের সবগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং সেই সঙ্গে নতুন কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০১০ সালে ফ্রান্সের ফ্লেমেনভিলেতে ১৫০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজের খরচ ধরা হয়েছিল ৩.৩ বিলিয়ন ইউরো। নানা ধাপে খরচ বাড়িয়ে এখন বলা হচ্ছে এটি নির্মাণে ১০.৫ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে। অর্থাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ খরচ লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার নজির আছে। এবং এই অস্বাভাবিক ব্যয় সামলাতে শেষপর্যন্ত বিভিন্ন দেশের সরকারকে জনগনের করের টাকার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের সংগঠন ‘ইউনিয়ন অফ কন্সার্নড সাইন্টিস্ট’ গত এক দশক ধরে বিভিন্ন রিপোর্টে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অস্বাভাবিক খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তাদের মতে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রর নিরাপত্তা সংযোজনের খরচ দিনে দিনে বাড়ছে। অতিরিক্ত খরচের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পক্ষে ব্যবসায়িক ভাবে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংগঠনের মতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় নজিরবিহীন ভাবে বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্টের করদাতাদের মোট ১ লক্ষ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তি কর দিতে হতে পারে।

বাংলাদেশে এইসব ব্যয়বহুল প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুললেই বলা হয় উন্নয়নের জন্যে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। কয়লা এবং পারমাণবিক বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা কয়েক বছরের গবেষণালব্ধ ফল নিয়ে বিকল্প মহাপরিকল্পনার খসড়া উপস্থিত করেছি। কম ব্যয়ে পরিবেশ সম্মতভাবে দেশের সকলের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ যে সম্ভব সেটাই আমরা তথ্য প্রমাণ সহ দেখিয়েছি। দেখিয়েছি যে, এর জন্য রামপাল রূপপুরের মতো ধ্বংস প্রকল্পের কোনো প্রয়োজন নেই।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্ভাবনার বিষয়টি সামনে আনা হলে দাবি করা হয় যে, সৌর এবং বায়ু বিদ্যুতে বিপুল পরিমান ভর্তুকি দিতে হয়। এবং এই ভর্তুকির ব্যয় বহন করা রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব না। অথচ, যে সত্যটি গোপন করা হয় তা হলো কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ আপাদমস্তক রাষ্ট্রীয় ভর্তুকির উপর নির্ভরশীল, এবং বর্তমানে বিভিন্ন দেশে কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুতে যে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় ভর্তুকি দেয়া হয় তার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠছে।

শুধুমাত্র নির্মাণ খরচই নয়, কয়লা এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন ধরণের হিডেন কস্ট বা লুক্কায়িত খরচ, যেগুলো জনগণের সামনে আসেনা। যেমন রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহের লক্ষে নৌপথ তৈরিতে সংলগ্ন নদীগুলোতে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় ৯৫৬ কোটি টাকা। আবার শুধুমাত্র রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্যে বছরে প্রায় ৪৭ লাখ টন কয়লা আমদানি করতে হবে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২২টি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি হয়েছে। এই অবিশ্বাস্য মাত্রার কয়লা পরিবহণের জন্যে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল রাষ্ট্রীয় খরচে তৈরী হচ্ছে রেলওয়ে এবং নৌ রুট । আবার নদী পথে কয়লা পরিবহণের জন্যে নদীর নাব্যতা ঠিক রাখতে নিয়মিত ড্রেজিং অপরিহার্য, সেখানেও বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বছরের পর বছর এই রাষ্ট্রীয় সাহায্য ছাড়া এবং জনগণের করের টাকায় নির্মিত এইসব নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহৃত পরিবহণ অবকাঠামো ছাড়া একটি কয়লা বা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও লাভজনক উপায়ে চালু রাখা সম্ভব নয়।

অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশে পরিবেশ ও জনজীবনের জন্যে মারাত্বক হুমকিস্বরূপ এই বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো নির্মাণে প্রতিবছর বাজেটে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ থাকলেও দেশের গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধানে জাতীয় সক্ষমতা বিকাশে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল এবং নীতিমালা বৈরী। পাশাপাশি তুলনামূলক ভাবে সস্তা এবং পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে কোনো উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ আমরা এখন পর্যন্ত দেখিনি। অথচ, শুধু বিশ্বের উন্নত দেশগুলোই নয়, উন্নয়নশীল দেশগুলোও অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাজেট বরাদ্দ এবং রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। যেমন ভারতের মিনিস্ট্রি অফ রিনিউইবেল এনার্জির তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৭০ হাজার মেগাওয়াট। ২০২২ সালের সৌর, বায়ু, ও বায়োগ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট রাখা হয়েছে এক লক্ষ্ ৭৫ হাজার মেগাওয়াট। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ভারতে সৌর বিদ্যুৎ বিকাশের হার ৩৭০ পার্সেন্টের বেশি। ভারতে বর্তমানে প্রতি ইউনিট সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ ৩ টাকা (২.৪৪ রুপি) মূল্যে উৎপাদনের রেকর্ড তৈরী হয়েছে। বাণিজ্যিক ভাবেও যা ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে।

অথচ বাংলাদেশে আমরা দেখছি উল্টো চিত্র। এই মুহূর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। নিম্নমানের সৌর প্যানেল বাজারে ছড়িয়ে পড়ায় গ্রামীণ মানুষ খুব দ্রুত সৌর বিদ্যুতে আগ্রহ হারাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইউনিটপ্রতি প্রায় ১৫ থেকে ২২ টাকায়, অর্থাৎ অত্যন্ত উচ্চমূল্যে চুক্তি করেছে সরকার।

ভারত, শ্রীলংকা, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন সহ পৃথিবীর আরো অনেক দেশ যখন কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুৎ থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ করছে, বাংলাদেশে আমরা দেখছি সরকার একের পর এক অস্বচ্ছ চুক্তি করে কয়লা এবং পারমাণবিক বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীলতা বাড়াচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বহুবিধ বিরূপ অভিজ্ঞতার পরও সরকার উন্নয়ন সাফল্যের বয়ানে যেসব প্রকল্পকে গৌরবান্বিত করছে তার মধ্যে এই রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প অন্যতম। এই প্রকল্প প্রথম থেকে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা , গোপনীয়তা ও জবরদস্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সম্প্রতি এই প্রকল্পের ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতির যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা এর খুবই ছোট অংশ। উপরন্তু বিশ্বের পারমাণবিক শক্তির প্রথম সারির দেশগুলো যখন উচ্চ ব্যয়বহুল এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলে এই পথ থেকে সরে আসছে তখন বাংলাদেশের মানুষের ওপর ভয়াবহ ঋণের বোঝা চাপিয়ে, ঝুঁকি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত না করে, প্রকল্প সংলগ্ন কোটি মানুষকে প্রত্যক্ষ ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, পদ্মা নদী এবং সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে মহাবিপদে নিক্ষেপ করে এই ব্যয়বহুল প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বাস ছড়ানো এক নির্মম পরিহাস বলে আমরা মনে করি। রামপাল, রূপপুর, মাতারবাড়ীর এসব প্রকল্পকে আমরা উন্নয়ন নয় ধ্বংস প্রকল্প বলে মনে করি এবং উন্নয়নের নামে প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য জনগণের অর্থ বরাদ্দ দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। একইসঙ্গে এসব প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত পরিবেশ সম্মত সুলভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় করার দাবি জানাই।

আগামী অর্থবছরে বাজেট বরাদ্দসহ সরকারি নীতিমালায় জনস্বার্থে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই:

* রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবনবিনাশী সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

* রূপপুর, মাতারবাড়ী, বাঁশখালী, বরগুণাসহ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সকল প্রকল্প নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জাতীয় স্বার্থবিরোধী প্রাণ প্রকৃতি বিনাশী সকল প্রকল্প বাতিল করতে হবে। মন্ত্রী ও জ্বালানি উপদেষ্টাদের ভ’মিকা তদন্ত করে জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতে হবে।

* দুর্নীতি লুটপাটের ‘দায়মুক্তি আইন’ বাতিল করতে হবে।

* রক্তে লেখা ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়াসহ উত্তরবঙ্গ ধ্বংস করে উন্মুক্ত খনির চক্রান্ত বন্ধ এবং অবিলম্বে ফুলবাড়ী নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

* জাতীয় সক্ষমতা বিকাশের পথে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে জাতীয় সংস্থার মাধ্যমে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে হবে। খনিজসম্পদ রপ্তানি নিষিদ্ধ আইন করে শতভাগ সম্পদ দেশের কাজে লাগাতে হবে।

* সারাদেশে সুলভে সার্বক্ষণিক গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে জাতীয় কমিটির প্রস্তাবিত খসড়া মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবার জন্য বাজেট বরাদ্দ ও সরকারি নীতিমালা পুনর্বিন্যাস করতে হবে।