?> ‘পর্যাপ্ত গ্যাস নাই, গ্যাসের নামে বাতাস, বিদ্যুতে খুটির বদলে বাঁশ, লোড শেডিং, এরপরও মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা চলছে’ « NCBD – National Committee of Bangladesh

Tuesday, July 10th, 2018

‘পর্যাপ্ত গ্যাস নাই, গ্যাসের নামে বাতাস, বিদ্যুতে খুটির বদলে বাঁশ, লোড শেডিং, এরপরও মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা চলছে’

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন লাইনে পর্যাপ্ত গ্যাস নাই, গ্যাসের নামে বাতাস, বিদ্যুতে খুটির বদলে বাঁশ, বিদ্যুতের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদনের পরও লোড শেডিং, এরপরও দামবৃদ্ধির প্রচেষ্টা-এগুলোই হলো সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের চেহারা।

আজ ১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, সকাল ১১টায় ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে ‘গ্যাস-বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি: জাতীয় স্বার্থবিরোধী মহাপরিকল্পনা ও এলএনজি নির্ভরতা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। মূল আলোচনা উত্থাপন করেন অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা। বক্তব্য রাখেন রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাইফুল হক, মোশরেফা মিশু, মোশাররফ হোসেন নান্নু, খালেকুজ্জামান লিপন, আবুল হাসান রুবেল।

আলোচনা সভায় মোশাহিদা সুলতানা গ্যাস খাতের বর্তমান চালচিত্র তুলে ধরে বলেন, এলএনজি আর এলপিজি আমদানির নামে এ খাতকে পুরো আমদানি নির্ভর করে তোলা হচ্ছে। এর সিংহভাগ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। প্রকারান্তরে তাদের হাতেই এই খাত জিম্মি হতে চলেছে।অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সংকটের কথা বলেই এলএনজি ও এলপিজি আমদানির কথা বলা হচ্ছে। এরফলে কয়েকগুণ দাম বৃদ্ধি পাবে। এলএনজি নির্ভরতা বৃদ্ধিতে পুরো অর্থনীতিকে বিপজ্জনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নানা চুক্তির মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীর লুণ্ঠনের ব্যবস্থার তৈরির পথ মন্ত্রি সম্প্রতি স্বীকার করেছেন দেশে চল্লিশ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মওজুদ আছে। দেশের গ্যাস সম্পদের উপরে শতভাগ মালিকানা নিশ্চিত করে জাতীয় কমিটির খসড়া মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ দিয়ে কম দামে পরিবেশসম্মত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। সরকার সে পথে না যেয়ে এলএনজি, কয়লা পারমাণবিক কেন্দ্রের ভয়ংকর ফাঁদে দেশকে ফেলছে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাসা-বাড়ী-শিল্পে পর্যাপ্ত গ্যাস নাই অথচ জনগণ টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছে। এরমধ্যে আবার মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনগণের পকেট কাটা যাবে। এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। অস্বচ্ছ ও দুর্নীতিমূলক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে সরকার আবারও জ্বালানি ক্ষেত্রে দায়মুক্তি আইনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে।

বক্তারা গ্যাস খাতের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে দেশের গ্যাস সম্পদের প্রতিটি ফোটার সুষ্ঠু ব্যবহার, এক্ষেত্রে দুর্নীতি অপচয় বন্ধ ও গ্যস-জ্বালানি খাতের দুর্নীতিবাজদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানান।