Monday, July 2nd, 2018
কতিপয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থে গ্যাস সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে
১ জুলাই সন্ধ্যায় গ্রীণ রোডে জাতীয় কমিটির কার্যালয়ে কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, মোশারফ হোসেন নান্নু, আবুল হাসান রুবেল, কল্লোল মোস্তফা, নজরুল ইসলাম, খালেকুজ্জামান লিপন, রজত হুদা, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, মাসুদ খান, মমিনুর রহমান মমিন, সামছুল আলম, মো: শাহজালাল প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, একসময় যেসব মহল থেকে বলা হতো বাংলাদেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে তারাই এখন বলছে বাংলাদেশে গ্যাস সংকট। দুসময়েই এই মহল দেশি-বিদেশি কতিপয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর স্বার্থে প্রচারণায় লিপ্ত। সে সময় তারা ‘গ্যাস অতিরিক্ত’ ধুয়া তুলেছিল দেশকে বিপন্ন করে গ্যাস রফতানি যুক্তিযুক্ত করতে। এখন তারা ‘গ্যাস সংকট’ বলছে বাংলাদেশকে এলপিজি এলএনজি ব্যবসার জিম্মি বানাতে, কয়লা ও পারমাণবিক বিদ্যুতের নামে দেশকে বর্জ্যের ভাগাড়ে পরিণত করতে।
বাংলাদেশে স্থলভাগ ও সমুদ্রে যথাযথ ভাবে গ্যাস অনুসন্ধানের পথে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে, অনুসন্ধান না করে শত শত কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে, বাপেক্সকে বানানো হয়েছে বিদেশি কোম্পানির সাবকন্ট্রাক্টর। অন্যদিকে গ্যাস রপ্তানিমুখি চুক্তি করা হচ্ছে বিদেশি কোম্পানির সাথে। গ্যাস সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনায় ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে বাড়ীঘর ও শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। সেই সুযোগে দেশি-বিদেশি এলপিজি ও এলএনজির দাপটে পুরো জ্বালানি খাত নাজুক হয়ে পড়ছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গ্যাস অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত করে গ্যাস সংকটের ধুয়া তুলে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্পসহ উপকূল জুড়ে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প করে বাংলাদেশকে ভয়ংকর বিপদের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
সভায় বাংলাদেশকে কতিপয় ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি করার এই চক্রান্ত বন্ধ করবার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে জাতীয় কমিটি প্রস্তাবিত বিকল্প পথে সুলভে টেকসই পরিবেশ সম্মত ভাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করবার দাবি জানানো হয়।