Monday, May 7th, 2018
দায়মুক্তি আইন দিয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বেপরোয়া অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে সরকার
আজ ৭ই মে গ্রীণ রোডে জাতীয় কমিটির কার্যালয়ে কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, আজিজুর রহমান, আবুল হাসান রুবেল, নজরুল ইসলাম, খালেকুজ্জামান লিপন, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, নাসিরউদ্দীন আহমদ নাসু, মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, মমিনুর রহমান বিশাল, লিয়াকত আলী, সুবল সরকার, সামছুল আলম, মো: আবুল হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
সভায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি, চুক্তি ও পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে আগামী ১২ মে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জাতীয় কমিটির বক্তব্য জনসমক্ষে উপস্থিত করবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকার দায়মুক্তি আইন দিয়ে জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতে একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতি বৃদ্ধি করে নিজেদের অতীত রেকর্ড নিজেরাই ভঙ্গ করছে, অনিয়ম ও দুর্নীতির নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি করছে, দেশকে অধিক থেকে অধিকতর হারে বিপদগ্রস্ত করছে।’ সভায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে বাংলাদেশের গ্যাস অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত করে অনেক বেশি দামে এলএনজি আমদানি-র বিভিন্ন প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অযৌক্তিক ও দুর্নীতিগ্রস্ত এসব প্রকল্পের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ উভয়েরই দাম বাড়বে, দীর্ঘমেয়াদে শিল্পসহ উৎপাদনশীল খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।’
সভায় বলা হয়, সুন্দরবনের বিপজ্জনক সীমানার মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও আরো অনেক সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প অনুমোদনের মাধ্যমে সরকার সুন্দরবনকে দেশি বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত করছে। সভায় আরও বলা হয়, কোন প্রকার সমীক্ষা না করে দেশের পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে উপকূল রক্ষাকারী বন বিনাশ করে বরগুনা ও পটুয়াখালীতেও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বড় আকারের দুর্নীতি ছাড়া এ ধরনের চুক্তি হতে পারে না। এর পাশাপাশি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র গৌরবের নামে দুর্নীতি অনিয়ম ও জননিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টিকারী প্রকল্প।
সভায় দায়মুক্তি আইন ও পিএসএমপি-২০১৬ বাতিল করে জাতীয় কমিটির প্রস্তাবিত সুলভ পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই পথে বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানানো হয়।