?> ‘সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল এবং বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১৯ মার্চ দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সফল করুন’ « NCBD – National Committee of Bangladesh

Thursday, March 15th, 2018

‘সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল এবং বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১৯ মার্চ দেশব্যাপী সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সফল করুন’

আজ ১৫ মার্চ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক যুক্ত বিবৃতিতে দায়মুক্তি আইনের অধীনে অস্বচ্ছ কায়দায় ব্যয়বহুল দুনীতিনির্ভর প্রকল্প গ্রহণ ও চুক্তি স্বাক্ষর অব্যাহত রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা একইসঙ্গে রামপাল রূপপুরসহ দেশের জন্য ক্ষতিকর সব প্রকল্প বাদ দিয়ে জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনায় ঘরে ঘরে শিল্প কৃষিতে কমদামে পরিবেশ সম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবারো দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার আগেই সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করুন। বাংলাদেশের মানুষ বন-নদী- দেশকে বিপন্ন করার প্রকল্পকে উন্নয়ন হিসেবে গ্রহণ করবে না।’

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘ভোলা গ্যাসক্ষেত্র জাতীয় সংস্থার আবিষ্কার, অথচ জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা বিদেশি কোম্পানি গাজপ্রমকে দেয়ার তৎপরতা চলছে। জাতীয় সংস্থাকে পঙ্গু বানিয়ে, গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ রেখে উচ্চ দামে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি দেশের জ্বালানি খাতকে বিপর্যস্ত করবে। এতে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এমনভাবে বাড়বে যাতে দেশের শিল্প কৃষি সহ উৎপাদনশীল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

নেতৃবৃন্দ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশাল ব্যয় ও ভয়াবহ ঝুঁকি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত অগ্রাহ্য করে নতুন নতুন চুক্তির সমালোচনা করে বলেন, ‘এই প্রকল্প শুধু দেশকে ভয়াবহ বিপদে ফেলবে না অর্থনৈতিকভাবে বিশাল বোঝা সৃষ্টি করবে।’
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ এবং সকল অসম ও ক্ষতিকর চুক্তির পরিবর্তে জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামি ১৯ মার্চ দেশব্যাপী সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি সফল করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।