Tuesday, March 6th, 2018
নির্বাচন ঘোষণার আগে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্প বাতিল করুন
আজ সকালে গ্রীণরোডে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দায়মুক্তি আইনের অধীনে অব্যাহতভাবে অস্বচ্ছ কায়দায় ব্যয়বহুল দুর্নীতিনির্ভর প্রকল্প গ্রহণ ও চুক্তি স্বাক্ষরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় রামপাল রূপপুরসহ দেশের জন্য ক্ষতিকর সব প্রকল্প বাদ দিয়ে জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনায় ঘরে ঘরে শিল্প কৃষিতে কমদামে পরিবেশ সম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবারো দাবি জানানো হয়।
সভায় প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ভোলা গ্যাসক্ষেত্র জাতীয় সংস্থার আবিষ্কার, অথচ জাতীয় অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তা বিদেশি কোম্পানি গাজপ্রমকে দেয়ার তৎপরতা চলছে। জাতীয় সংস্থাকে পঙ্গু বানিয়ে, গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ রেখে উচ্চ দামে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি দেশের জ্বালানি খাতকে বিপর্যস্ত করবে। এতে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এমনভাবে বাড়বে যাতে দেশের শিল্প কৃষি সহ উৎপাদনশীল খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
সভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার আগেই সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করুন। বাংলাদেশের মানুষ বন-নদী- দেশকে বিপন্ন করার প্রকল্পকে উন্নয়ন হিসেবে গ্রহণ করবে না।’
সভায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিশাল ব্যয় ও ভয়াবহ ঝুঁকি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত অগ্রাহ্য করে নতুন নতুন চুক্তির সমালোচনা করা হয়। আরো বলা হয়, ‘এই প্রকল্প শুধু দেশকে ভয়াবহ বিপদে ফেলবে না অর্থনৈতিকভাবে বিশাল বোঝা সৃষ্টি করবে।’
সভায় সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, জাতীয় সক্ষমতার বিকাশ এবং সকল অসম ও ক্ষতিকর চুক্তির পরিবর্তে জাতীয় কমিটির বিকল্প প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামি ৯ মার্চ খুলনায় এবং ১৯ মার্চ দেশব্যাপী সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এবং তা সফল করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
সভায় জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আবুল হাসান রুবেল, জহিরুল ইসলাম, রজত হুদা, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।