?> ইউনেস্কো রিপোর্ট, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রবল জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল প্রকল্প বাতিল করার দাবি « NCBD – National Committee of Bangladesh

Wednesday, September 21st, 2016

ইউনেস্কো রিপোর্ট, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও প্রবল জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল প্রকল্প বাতিল করার দাবি

২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনের তোপখানা রোডে কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে জাতীয় কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সরকারের কাছে প্রেরিত ইউনেস্কোর সর্বশেষ রিপোর্ট, ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সাথে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ঋণ চুক্তি করবার লক্ষ্যে তৎপরতা এবং সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ইউনেস্কো যে খসড়া রিপোর্ট দিয়েছে তাতে সুন্দরবন বাঁচাতে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলে আমাদের দাবি ও আন্দোলনের ন্যায্যতা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।’ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছেন, আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের সাথে ইউনেস্কোর বক্তব্য মিলে যায়। এর কারণ একটাই, বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত, নির্মোহ যুক্তিনিষ্ঠ বিশ্লেষণ করলে বক্তব্য অভিন্ন হতে বাধ্য। কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত না হলে, একগুঁয়েমী ত্যাগ করে নির্মোহ বিচার বিশ্লেষণ করলে সরকারও একই সিদ্ধান্তে আসবেন।’ সভায় বলা হয় এর আগেও ইউনেস্কো সরকারকে সতর্ক করেছে। সরকার আগের মতো এসব গুরুতর বিষয় উপেক্ষা করলে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে। এধরনের পরিস্থিতি শুধু দেশকে বিপর্যস্ত করবে তাই নয়, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করবে।

বক্তারা সরকারকে একগুঁয়েমী ত্যাগ করে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, বিশেষজ্ঞ মত ও ক্রমবর্ধমান জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল চুক্তি বাতিলসহ সুন্দরবনবিনাশী বনগ্রাসী সব তৎপরতা বন্ধের দাবি জানান। সেজন্য সভায় ঋণ চুক্তি নিয়ে অগ্রসর না হয়ে রামপাল প্রকল্প চুক্তি বাতিলের কার্যক্রম শুরুর দাবি জানানো হয়।

সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিশ্বের বিভিন্ন শহরে সুন্দরবন রক্ষার বহুমুখি আন্দোলন ও সক্রিয়তায় যুক্ত সবার প্রতি অভিনন্দন জানানো হয়। সভায় বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে সমাবেশ, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি প্রদানে সমাবেশ এবং ২৪-২৬ নভেম্বর ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশারফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, জোনায়েদ সাকী, ফিরোজ আহমেদ, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, এড. আবদুস সালাম, মানস নন্দি, আকবর খান, ডা. সামছুল আলম, সুবল সরকার, মহিন উদ্দীন চৌধুরী লিটন, মাসুদ খান, শহীদুল ইসলাম সবুজ, মিজানুর রহমান প্রমুখ।