?> সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প ও গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ২১ মে সমাবেশ « NCBD – National Committee of Bangladesh

Sunday, May 17th, 2015

সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প ও গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ২১ মে সমাবেশ

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প ও গ্যাস নিয়ে চুক্তি: সরকারের অপতৎপরতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা সুন্দরবন ধ্বংসী প্রকল্প ও গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

সভায় সুন্দরবন সংলগ্ন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বিভিন্ন ভূমিগ্রাসী তৎপরতা বন্ধ করে সুন্দরবন এবং গ্যাস সম্পদসহ খনিজ সম্পদ বিদেশী কোম্পানীর হাতে তুলে দেওয়ার অপতৎপরতা বন্ধ করে বাপেক্স/পেট্রোবাংলাকে সুযোগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আগামী ২১ মে দেশব্যাপী দাবি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

১৬ মে সকাল ১১টায় ২,কমরেড মণি সিংহ রোডস্থ মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মাদ, প্রকৌশলী বি ডি রহমতউল্লাহ, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা, টিপু বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, আব্দুস সাত্তার, প্রকৌশলী মওদুদুর রহমান, সামছুল আলম। বজলুর রশীদ ফিরোজ, ফিরোজ আহমেদ, মোফাজ্জেল হোসেন মোস্তাক, আজিজুর রহমান, মাহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন বিশেষজ্ঞ মতামত এবং জনমত উপেক্ষা করে সরকার সুন্দরবনধ্বংসী বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এনটিপিসির রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প ছাড়াও ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট কারখানা, সাইলো, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পসহ ভূমিগ্রাসের নানা তৎপরতা সুন্দরবনের জন্য একের পর এক বিপদ তৈরী করছে। সম্প্রতি একাধিক জাহাজ ডুবির স্মৃতি এই সংকেত দিচ্ছে যে, সুন্দরবন রক্ষা করতে গেলে বাণিজ্যিক সব প্রকল্প ও পরিবহন বন্ধ করতে হবে।

সভায় বক্তারা আরও বলেন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের সবচাইতে সম্ভাবনাময় গ্যাস সম্পদ নিয়ে এমন সব তৎপরতা চলছে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ভিত্তি নির্মাণ সংকটপন্ন হয়ে যাচ্ছে। বাপেক্সকে যথাযথ কাজের সুযোগ না দিয়ে বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে স্থল ও সমুদ্রভাগের বিভিন্ন গ্যাস ব্লক। বক্তারা বলেন, ১ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ‘স্থলভাগের কোনো গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেওয়া হবে না’ এই অঙ্গীকার করলেও সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গ্যাস ব্লক বিদেশী কোম্পানীকে দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরেও উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি সংশোধন করা হচ্ছে এমনভাবে যাতে এই গ্যাসের ক্রয় দাম যা দাড়াবে তা আমদানী করা গ্যাসের চাইতে বেশী হবে।

বক্তারা সরকারের এই অপতৎপরতা প্রতিরোধ করে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় আন্দোলন বেগবান করতে সচেতন দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় জানানো হয় ২১ মে দাবি দিবসে বিকাল ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।