Monday, September 15th, 2014
প্রধানমন্ত্রী, সুন্দরবনধ্বংসী প্রকল্প বাতিল করার পর বাঘ-প্রকৃতি-সুন্দরবন রক্ষার কথা বলুন
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এ এক নির্মম পরিহাসের বিষয় যে, বাংলাদেশের সরকার এক দিকে বাংলাদেশে বাঘের একমাত্র আবাসস্থল সুন্দরবনের ধ্বংস নিশ্চিত করার মত দূরত্বে একাধিক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে ও অনুমতি দিচ্ছে; অন্যদিকে বাঘ আর সুন্দরবন বাঁচানোর গুরুত্বের কথা বলে বিশ্ব বাঘ গণনা সম্মেলন উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, “বাঘ বাঁচায় সুন্দরবন-সুন্দরবন বাঁচায় বাংলাদেশ”। কিন্তু তিনি একথাটি উহ্য রাখছেন যে, বাংলাদেশকে বাঁচায় যে সুন্দরবন তাকেই এই সরকার দেশি-বিদেশি লুন্ঠনকারী মুনাফাখোর ও দখলদারদের হাতে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষার নামে সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকসহ বহু সংস্থার ব্যয়বহুল নানা প্রকল্প তৈরী হচ্ছে। এতে অনেকের অর্থ উপার্জন হবে। এসব বায়বীয় ‘রক্ষা’ প্রকল্প দিয়ে সুন্দরবন রক্ষা পাবেনা। সুন্দরবন রক্ষায় কোন কনসালটেন্ট, অর্থ ও প্রকল্প দরকার নাই। ক্ষমতাবান গোষ্ঠী যদি সীমাহীন লোভ পূরণে দস্যু-দানবের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হয় তাহলে সুন্দরবন নিজেই নিজেকে রক্ষা ও পূন:উৎপাদন করতে সক্ষম। সরকার এই দানবদের প্রতিহত না করে বরং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। অথচ সুন্দরবন ধ্বংস মানেই শুধু বাঘ নিশ্চিহ্ন হওয়া নয়, প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে লক্ষ লক্ষ মানুষকেও অবধারিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘সুন্দরবনধ্বংসী তৎপরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলেরও সোচ্চার হওয়া উচিত। কেননা সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ্বেরও অমূল্য সম্পদ, যা পৃথিবীতে একটিই আছে। এটি ধ্বংস হলে আর একটি সুন্দরবন তৈরীর ক্ষমতা মানুষের নেই।’
‘সুন্দরবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান যদি প্রতারণামূলক না হয় তাহলে তিনি অবিলম্বে সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল ও ওরিয়নের বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল ঘোষণা করবেন।’