Thursday, September 26th, 2013
‘তৌফিক এলাহীদের কাছে কাজ হল মাথা বিক্রি করা ’
বৃহস্পতিবার ছিল লংমার্চের তৃতীয় দিন। সকাল ৯টা ৪০এর দিকে লংমার্চ বহর ফরিদপুরের আম্বিকা মেমোরিয়াল হল থেক যাত্রা শুরু করে। এর আগেই সমগীতের একটি অগ্রবর্তি দল লং মার্চের যাত্রাপথে প্রচারণা চলায়।
বেলা ১১টার দিকে লংমার্চ ফরিদপুরের মধুখালিতে পৌঁছায়। এসময় জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিইনিয়ার শেখ মুহাম্মদ শহীদল্লাহ লং মার্চের নেতৃত্ব দেন। একটি মিছিল নিয়ে লংমার্চ মধুখালিতে প্রবেশ করে। পথের দুই পাশে জনতা পতাকা হাতে নিয়ে ও কততালি দিয়ে লংমার্চকে স্বাগত জানায়।
পথসভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচীব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টার ধৃষ্ট মন্তব্যের প্রেক্ষিতে , “তৌফিক এলাহীদের কাছে কাজ হল, মাথা বিক্রি কর, দেশকে বিক্রি করা, লুন্ঠন পাচার। এসব ছাড়া কিছুকেই তারা কাজ মনে করেন না।”
“জ্বালনি উপদেষ্টা বলেছেন যাদের কাজ নাই তারা নাকি লংমার্চ করে। এখানে অনেকগুলো সংগঠন একত্রে কাজ করছে। তাদের পেশাগত কাজ ফেলে রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন। এতে করে তারা মানুষ হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে প্রতি তাদের ভালবাসার প্রকাশ ঘটাচ্ছেন।”
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ কলেন, লক্ষ প্রাণের সমষ্টি মহাপ্রাণ সুন্দরবন ধ্বংস হলে বাংলাদেশ ধ্বংস হবে। এর বেঁচে তাকার উপর নির্ভর করে আমাদের সবার বেঁচে থাকা। এটা এমন একটা প্রকৃতিক বাঁধ যা আমাদের প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। এটি বানাতে ভারত, আমেরিকা, বিস্বব্যাংক আইএমএফ থেকে ঋণ নিতে হয় নাই। কিন্তু মুনাফার লোভে এই সুন্দরবন ধ্বংসের পরিকল্পনা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই ভারতের সাথে বন্ধুত্ব। কিন্তু ভারতের পুজিপতি গোষ্টি আমাদের অস্তিত্ব বিলোপের চেষ্টা করছে। আমরা বন্ধুত্ব চাই দাসত্ব চাই না। এখানে যদি ভারতীয় কোম্পানি না এসে পকিস্তানি বা আমেরিকান বা চিনা বা রাশিয়ান কোম্পানি এলেও জাতীয় কমিটি একইভাবে প্রতিবাদ করত।
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিইনিয়ার শেখ মুহাম্মদ শহীদল্লাহ বলেন, তৌফিক এলাহি জনগণের কাছে ডাহা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। কিন্তু বিজ্ঞানিরা প্রমাণ করেছেন, রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যূত কেন্দ্র হলে সেটি সুন্দরবন ধ্বংস করবে। সত্য আহুনের মত সেটা প্রকাশ হবেই। তোউফিক এলাহীরা ছাই দিয়ে আগুন চাপা দিতে পারবেন না।
মধুখালিতে আগে থেকেই লং মার্চ উপলক্ষ্য করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। লং মার্চ বহর পৌঁছালে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার কাজ শুরু হয়। সিপিবির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স সভার কাজ পরিচালনা করেন। তিনি মধুখালী বাসীর সাথে জাতীয় কমিটির নেতাদের পরিচয় করিয়ে দেন।
লংমার্চের পরবর্তি গন্তব্য মাগুরা।