Wednesday, May 15th, 2013
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প: ড.আব্দুল্লাহ হারুণ চৌধুরী পরিচালিত পরিবেশ সমীক্ষা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুণ সুন্দরবনের পাশে প্রস্তাবিত রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর সম্প্রতি একটি পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্ন করেন। সেই পরিবেশ সমীক্ষা অনুসারে:
“কাঠামোগত, জৈবিক, সামাজিক এবং অথনৈতিক পরিবেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অধিকাংশ প্রভাবই ঋণাত্নক এবং অপরিবর্তনীয় (-৮১) যা কোনভাবেই প্রশমন করা যাবে না। প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে জলবায়ু, ভূ-কাঠামো, জমি ব্যবহারের ধরণ, বাতাস এবং পানির গুণাগুণ, আর্দ্র জায়গা, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্রতা, আহরিত মৎস্য সম্পদ এবং পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে বোঝা যাচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফলে জলাবদ্ধতা, নদীভাঙ্গন, শব্দ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুকি বাড়বে। পানির স্তর নীচে নেমে যাবে, মাছ চাষ এবং সামাজিক বনায়ন কমে যাবে এবং কৃষির মারাত্নক ক্ষতি হবে। কৃষি বাদে এই সমস্যাগুলো দর্নঘ প্রশমন ব্যবস্থার মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা যেতে পারে। কিন্তু সব পরিবর্তনযোগ্য সমস্যাই ঋণাত্নক (মোট নাম্বার -৬৭)। কৃষির ক্ষতি পুষিয়ে নেয়াটা খুবই কষ্টকর হবে এবং অনেক মানুষ ভূমিহীন হবে। নগরায়ন, হাট-বাজার সৃষ্টি, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শিল্পায়ন উন্নত হবে যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে টেকসই হতে পারে। প্রশমনের মাধ্যমে টেকসইযোগ্য উপাদানগুলোর নাম্বার মাত্র +১৪ যা নির্দেশ করছে- এই এলাকা শিল্পায়ন এবং নগরায়নের জন্য উপযোগী নয়। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে কেবল আশেপাশের গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছাবে এবং কিছু কর্মসংস্থান তৈরী হবে আর স্থানীয় ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বাড়বে। প্রস্তাবিত রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লাভ খুবই সামান্য (টেকসইযোগ্য +১৯) যেখানে ঋণাত্নক প্রভাব -৮১। তাই নির্বাচিত এলাকাটি অর্থনৈতিক, সামাজিক, কাঠামোগত এবং পরিবেশগত দিক বিবেচনায় কোন ধরণের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য উপযোগী নয়। প্রভাব নিরূপণকারী উপাদান এবং পরিবেশগত সমীক্ষা অনুসারে এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রকল্প স্থানে এবং সুন্দরবন, রামপাল, মংলা এলাকায় ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা’র মতই কাজ করবে।”
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সমীক্ষাটি অনুবাদ করেছেন প্রকৌশলী মওদুদুর রহমান। পুরো সমীক্ষাটি পড়ার জন্য ক্লিক করুণ –