?> বাংলাদেশের জ্বালানী সংকট সমাধানের ও জ্বালানী নিরাপত্তার সকল সম্ভাবনা নি:শেষ করবে ‘পিএসসি ২০১২’ « NCBD – National Committee of Bangladesh

Sunday, May 12th, 2013

বাংলাদেশের জ্বালানী সংকট সমাধানের ও জ্বালানী নিরাপত্তার সকল সম্ভাবনা নি:শেষ করবে ‘পিএসসি ২০১২’

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের চরম অনিশ্চয়তা ও অচলাবস্থার মধ্যেও সরকার বঙ্গোপসাগরের গ্যাস সম্পদ ও বিদ্যুৎ খাত নিয়ে জাতীয় স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন তৎপরতা যথারীতি অব্যাহত রেখেছে। বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও নিরাপত্তার প্রধান অবলম্বন। মায়ানমার সরকারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিষ্পত্তি হওয়ার পর সে অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ যে ধরনের চুক্তিতে বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে তাতে এই সম্পদ বাংলাদেশের জনগণের কাজেতো লাগবেই না উপরন্তু বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশ চিরস্থায়ী বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। সম্পদ পরিণত হবে অভিশাপে।

সম্প্রতি সরকার জনগণকে অবহিত না করে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির দাবি অনুযায়ি পিএসসি-২০১২ সংশোধন করে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এই সংশোধনিতে কোম্পানিগুলোর সুবিধা এত বেশি বাড়ানো হয়েছে যে, এরপর থেকে বাংলাদেশকে নিজের গ্যাস আন্তর্জাতিক দরে বিদেশি মুদ্রায় কিনতে হবে। তাছাড়া সম্পূর্ণ জিম্মি থাকতে হবে এইসব কোম্পানির হাতে। তাদের কাছ থেকে গ্যাস কেনার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ। তাছাড়া যে কোন দামে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুবিধা দিয়ে পুরো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে অসম্ভব ব্যয়বহুল করে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপরও বিদেশি কোম্পানির কর মওকূফ করা হচ্ছে। গ্যাসের উপর তাদের কর্তৃত্বের অনুপাতও বাড়ানো হচ্ছে।
জ্বালানী নিরাপত্তা ও জ্বালানী সংকট সমাধানের যে শক্তিশালী সম্ভাবনা বাংলাদেশে আছে, পিএসসি ২০১২ অনুযায়ী চুক্তি স্বাক্ষর হতে থাকলে তা সম্পূর্ণ নি:শেষ হবে। আমরা অবিলম্বে পিএসসি-২০১২ অনুযায়ি বিডিং প্রক্রিয়া বাতিল করে জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবি অনুযায়ি গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে দেশের অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে নানা দেশধ্বংসী গোপন চুক্তি করবার তৎপরতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।