
Thursday, January 17th, 2013
মহা অশনিসঙ্কেত : এশিয়া এনার্জির হয়ে মাঠে এশিয়াটিক
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। তখনকার জনপিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান একটি সিগারেটের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছিলেন। তখন এর অনেক প্রতিবাদ হয়েছিল। এত জনপ্রিয় অভিনেতার সিগারেট খাওয়া দেখে তরুণরা উৎসাহিত হতে পারে। পত্রিকার সচেতন কলামিস্টদের মধ্যে তখন বরেণ্য অভিনয় শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী যাকেরের নামটাও ছিল। সেই মহাসচেতন আলী যাকের এখন কি তার চিন্তা চেতনার খেই হারিয়ে ফেলেছেন? নাকি অন্য কিছু?
বলছি গণধিকৃত, টাউট কোম্পানি এশিয়া এনার্জির সঙ্গে আলী যাকেরের কোম্পানির মধ্যে হওয়া চুক্তির কথা। এশিয়া এনার্জিকে কে না চেনে এই দেশে? অর্থ দিয়ে পক্ষে নেয়া, দুর্নীতি বিস্তৃতিতে কোম্পানিটির বড় ভূমিকার কথা কারোরই অজানা না। এশিয়া এনার্জির অর্থের প্রভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে ফুলবাড়ীতে। সেই এশিয়া এনার্জির ভাবমূর্তি উন্নয়নের দায়িত্ব পালন করছেন আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকেরের কোম্পানি এশিয়াটিক!
কেন? হয়ত তারা বলবেন এটা তাদের ব্যবসা। তার মানে অর্থের জন্যে এ কাজ করছেন। জাহিদ হাসান সিগারেটের বিজ্ঞাপনও তো অর্থের জন্যেই করেছিলেন। জাহিদ হাসানকে দেখে হয়ত কিছু তরুণ সিগারেটে অভ্যস্ত হয়েছে বা হতো। এটা অবশ্যই ক্ষতিকর কাজ। কিন্তু এশিয়া এনার্জির পক্ষে অবস্থান নিয়ে দেশের কত বড় ক্ষতি করছেন আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূররা? এটা কি এখন তারা বুঝতে পারছেন না? আজ যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এশিয়া এনার্জির পক্ষে চিঠি লেখে, সেটাও তো তাদেরই অবদান।
এক সময় এশিয়া এনার্জির আইনগত দিক দেখার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। কেন এশিয়া এনার্জির পক্ষে কাজ করছেন? উত্তরে বলেছিলেন, ‘পেট চালাতে হবে তো।’ এখন আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূররাও হয়ত একই কথা বলবেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষরণ যে কতটা প্রবল হয়েছে এগুলো হয়ত তারই প্রমাণ। ব্যবসা করবে, তাই বলে সব ব্যবসা? দেশের স্বার্থ, দেশের মানুষ, ফুলবাড়ীর মানুষের কথা একবারও তাদের ভাবনায় আসবে না? দেশ আমাদের, কয়লা আমাদের, আর এশিয়া এনার্জি বলছে কয়লা উত্তোলনে বাংলাদেশকে প্রয়োজনে অংশীদারিত্ব দেব! একথা অর্থের বিনিময়ে এশিয়া এনার্জিকে বলার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে আলী যাকের, আসাদুজ্জামান নূর, সারা যাকেরেরা!
এশিয়াটিক বাংলাদেশে কাজ করছে ৪৬ বছর ধরে। এটি দেশের অন্যতম বিপণন, যোগাযোগ ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা। এর আগে পেপসি, রবি, এয়ারটেল, গ্রামীণফোন, ইউনিলিভার, নকিয়া, এইচএসবিসি, এবং বাংলাদেশ সরকার, ইউনিসেফ, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, কেয়ার, টিআইবি, এসএমসি, ইউএনডিপি, বিসিসিপিসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এশিয়াটিক অনেক বাণিজ্যিক ও সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এবার তারা যুক্ত হলো বহুজাতিক কোম্পানি গ্লোবাল কোল ম্যানেজমেন্ট (জিসিএম), এদেশে এশিয়া এনার্জি নামে পরিচিত বিতর্কিত এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে।
জিসিএম রিসোর্সেস পিএলসি’র সিইও গ্যারি লাই গত ৯ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে এশিয়াটিক মার্কেটিং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ফোরথট পিআর’ কে “বিবিধ তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সার্বিক গণমাধ্যম সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার” দায়িত্ব দিয়েছে। এর মাধ্যমেই বাংলাদেশে ফুলবাড়ী কয়লাখনিতে উন্মুক্ত খননের পক্ষে জনমত গঠন তথা পাবলিক রিলেশানস (পিআর) তৈরির কাজ করছে এশিয়াটিক মার্কেটিং!
এশিয়া এনার্জি এখন চাচ্ছে, বিভিন্ন মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে যেন পুরো বিষয়টা সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে। এশিয়াটিকের কাজের ধারাবাহিকতা থেকে বোঝা যায়, এই কাজে তারা নিজেদের মিডিয়া ডিপার্টমেন্টের পাশাপাশি স্থানীয় মিডিয়া এজেন্সি বা পাবলিক রিলেশন কোম্পানিকে ভাড়া করবে। এদের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার, বিশ্লেষণ, পজেটিভ খবর প্রকাশ করবে। আর ক্ষমতাবানদের সাথে বিভিন্ন যোগাযোগ ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে এই মহা ক্ষতিকর প্রকল্পকেও দেশের উন্নয়নের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে হাজির করবে।
অনেকেই এখানে অপরাধের কিছু দেখেন না। তারা মনে করেন, একটি কোম্পানি তার নিজের বিনিয়োগে লাভবান হতে নিজের পক্ষে প্রচার চালাতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন বলে মনে করছেন জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনকারী কর্মী ও সংগঠকরা। প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা এ প্রসঙ্গে বলেন, “পিআর এজেন্সি যখন গণমাধ্যমকে ম্যানেজ করে, যখন গণমাধ্যমে কোন ধ্বংসাত্মক প্রকল্পকে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে চালানোর জন্য সাক্ষাৎকার, মতামত, বিশ্লেষণ ইত্যাদি প্রকাশ করে কিংবা অন্য কোনোভাবে, পরোক্ষ প্রচারণা চালায়- তখন সেগুলোকে বিশেষজ্ঞ মতামত, বিশ্লেষণ, ওপিনিয়ন হিসেবে চালায়। আবার সেলিব্রেটি ইমেজ ব্যবহার করে জনগণের মতামত প্রভাবিত করে। কিন্তু এগুলো যে নানানভাবে কোম্পানি স্পনসরড তা গোপন করে। কারণ এটা প্রকাশ পেলে তো এগুলোর পিআর ভ্যালু বলে কিছু থাকবে না। ফলে জনগণের পক্ষে বোঝা মুশকিল হয়ে যায় কোনটা বিশেষজ্ঞ মতামত আর কোনটা কোম্পানির পয়সা খাওয়া মতামত। এশিয়াটিকের এখানে জড়ানোতে আমরা এই আশঙ্কাটাই করছি। এশিয়া এনার্জির পয়সা খাওয়া লোকজন এশিয়া এনার্জির পক্ষে বক্তব্য দিবে। এশিয়াটিক এটার প্রচার চালাবে ‘বিশেষজ্ঞ মত’ হিসেবে। এটা ভয়ঙ্কর এক আঘাত। জনগণকে এখনই সচেতন হতে হবে।”
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এশিয়াটিকের সঙ্গে চুক্তির আগেই এশিয়া এনার্জি তাদের দিয়ে কিছু কাজ করিয়েছে। যার অংশ হিসেবে এশিয়াটিকের ব্যবস্থাপনাতেই ঢাকায় আনা হয়েছিল ভারতীয় খনি বিশেষজ্ঞ অজয় কুমার ঘোষকে। তিনি সোনারগাও হোটেলে এক জমকালো ককটেল পার্টির আগের আলোচনায় খোলামেলাভাবে বলেন যে ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত খনি করা সম্ভব। যদিও কিভাবে সম্ভব তা বলেননি। ধারণা করা হচ্ছে, এভাবেই উন্মুক্ত খনির পক্ষে জনমত গঠনের কাজ করবে এশিয়াটিক।
ফুলবাড়ী কয়লাখনি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে পেতে এশিয়া এনার্জির মূল প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল কোল ম্যানেজমেন্ট (জিসিএম) তৎপরতা চালিয়েই যাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে এশিয়া এনার্জির সঙ্গে সরকারের নতুন চুক্তি সম্পাদনের কাজও এ লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। খবর বেরিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে এশিয়া এনার্জির ফাইল। বাকি সব কাজ শেষ। সরকার এমনিতেই এশিয়া এনার্জিকে দীর্ঘদিন ধরে সুরক্ষা দিয়ে আসছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, এরই ধারাবাহিকতায় সরকার পক্ষ থেকেই এশিয়া এনার্জিকে জনমত গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই পরামর্শ অনুযায়ী এশিয়াটিকের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, উন্মুক্ত খনির ভয়াবহতার কথা এর অনেক আগেই বিশ্লেষকরা বিভিন্ন লেখায় তুলে ধরেছেন। এতে পরিবেশের বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক ও প্রতিবেশগত ক্ষতি, জমির উর্বরতা নষ্ট, কৃষি জমি জলাশয় ও নদী দূষণ সহ আরো অনেক ক্ষতি হবে। ভূগর্ভস্থ পানি তোলার ফলে কোথাও হস্তচালিত নলকূপ কাজ করবে না। তাছাড়া পানি সরবরাহের যে নেটওয়ার্ক আছে তা দূষিত হবার কারণে মানবিক বিপর্যয় ভয়াবহ হবে। প্রায় দশ লাখ মানুষের পুনর্বাসন জটিলতা তৈরি হবে। ৩৮ বছর ধরে প্রতিদিন ৮০ কোটি লিটার ভূগর্ভস্থ পানি প্রত্যাহার করতে হবে।
এতসবের পরেও এশিয়া এনার্জিকে উন্মক্ত পদ্ধতিতেই খনি দিতে চায় একটি মহল। যদিও তারা কয়লাখনি বিষয়ে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। ফুলবাড়ীর জনগণ এশিয়া এনার্জির বিপক্ষে তাদের রায় দিয়ে আসছে। কিন্তু ওই মহলটি জনগণের ভালো খারাপের দিকে না তাকিয়ে ফুলবাড়ীর প্রাণ-প্রকৃতি-মানুষের ভাবনা বাদ দিয়ে এশিয়া এনার্জির লাভের ব্যবস্থা করে দিতে উদ্যোগী হয়েছে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। রাষ্ট্র এখানে সঠিক ভূমিকা নিতে পারছে না। সরকারের উচিত ছিল জনরায়ের পক্ষে হাঁটা। বিপুল জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করা। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোরও দরকার ছিল দেশের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানো। কিন্তু তার কিছুই হচ্ছে না। নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে গিয়ে যারা লাখ লাখ মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে তাদেরকে প্রতিহত করাটাই এখন একমাত্র কর্তব্য।
বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া
অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
শিক্ষাবিদ
এশিয়া এনার্জি একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। তাদের যে প্রস্তাব, উন্মুক্ত পদ্ধতিতে খনি করা, তা তো সে এলাকার মানুষ চায় না। বিভিন্ন পর্যায় থেকে এর বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন এটা দেশের জন্য ক্ষতিকর হবে। এখানে এশিয়াটিক গ্রুপের যুক্ত হওয়াটা দুঃসংবাদ। দেশীয় একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এভাবে দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে, এটা আমি মানতে পারছি না। আশা করি তারা তাদের ভুল বুঝবে এবং সরে আসবে।
অধ্যাপক আবু আহমেদ
অর্থনীতিবিদ
মার্কেটিং বিভাগটাই করা হয়েছে যা খুশী তা জনগণকে গেলানোর জন্য। পুরো ডাহা একটা মিথ্যা কথাকে যদি খুব আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায় মিথ্যা জেনেও মানুষ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। বর্তমান টিভি বিজ্ঞাপনগুলোতে এটা স্পষ্ট। একজন একটা বিস্কুট খেয়ে গাড়ি উঁচু করে ফেলছে। পুরো ভুয়া একটা জিনিস। কিন্তু ওই বিস্কুট বিক্রি হচ্ছে। বিজ্ঞাপন জিনিসটাই হচ্ছে মানুষকে অবচেতনে বোকা বানানোর একটা প্রক্রিয়া। যোগ্য একটি বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান চাইলে এমনভাবে সব বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারে যাতে মানুষ নিজের অগোচরেই নিজের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেবে। এজন্যই আমি মনে করি এশিয়াটিক এখানে যুক্ত হওয়াটা এলার্মিং। অন্য সব পণ্যের সঙ্গে এই কাজের তুলনা করে তারা ঠিক করেনি। এটা জাতীয় স্বার্থ, লাখো মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন। টাকার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ
গবেষক, কলামিস্ট
এশিয়া এনার্জির সঙ্গে বাংলাদেশের যে কোনো মিডিয়া ব্যবসায়িক বা অন্য যে কোনো কারণে প্রচারের জন্য চুক্তি করলে আমি তার নিন্দা জানাই। এশিয়া এনার্জির কার্যক্রম যেহেতু আমাদের জতীয় স্বার্থের পরিপন্থী সুতরাং তার সঙ্গে যারাই ব্যবসায়িক স্বার্থে চুক্তিবদ্ধ হবে তারাই জাতীয় স্বার্থবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হবে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
চেয়ারম্যান, পিকেএসএফ
এশিয়া এনার্জি নিয়ে বহুমুখী আন্দোলন হয়েছে। দেশের স্বনামধন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না। তারা ভুল করছে।
রাশেদ খান মেনন
সংসদ সদস্য, সভাপাতি, ওয়ার্কার্স পার্টি
এশিয়া এনার্জির পক্ষে এশিয়াটিকের এই কাজ দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে। দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যে কাজ করুক, এটা ব্যবসা বা যাই হোক, প্রতিহত করা দরকার।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
সদস্য সচিব, তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি
এশিয়া এনার্জি জালিয়াতি ও মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। তাদের সঙ্গে সরকারের কোনো চুক্তি নেই। তবু সরকার তাদের তৎপরতা চালাতে দিচ্ছে। এ থেকে স্পষ্ট বর্তমান সরকার জনগণের স্বার্থের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। এতে কিছু লোকের লাভ হচ্ছে। কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে দেশ ও বিপুল জনগোষ্ঠীর। এদেশে যারা এশিয়া এনার্জির পক্ষে যাবে তারা নিশ্চিত গণশত্রু।
পিয়াস করিম
অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
এটা খুবই নেতিবাচক একটা ঘটনা। এশিয়াটিকের ব্যবসা করার অধিকার অবশ্যই আছে। কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতাও তো আছে। আলী যাকের, সারা যাকের, আসাদুজ্জামান নূর সাহেবরা দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে সর্বত্র পরিচিত। তারা যদি এরকম জনবিরোধী কাজে যুক্ত হন এটা মেনে নেয়া যায় না।
এম এ মতিন
সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন
এশিয়া এনার্জির মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান এদেশে কমই আছে। এদেশ থেকে সম্পদ লুটের সঙ্গে তাদের নাম জড়িত। জনগণ এদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এদের সঙ্গে এশিয়াটিক? এশিয়াটিকের কর্তব্যক্তিরা সবাই গণমুখী চরিত্র হিসেবে পরিচিত। তারা কিভাবে এমন চুক্তিতে গেল যা জাতীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, এটা আমি মানতে পারছি না।