Sunday, January 13th, 2013
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির যুক্তি দেখিয়ে যে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে তা অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আয়োজিত মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ও বিদ্যুৎ-এর মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেছেন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে যে ভর্তুকির যুক্তি দেখিয়ে যে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে তা অযৌক্তিক ও জনস্বার্থবিরোধী।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করে সরকার আবারো জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনপ্রতিরোধের মাধ্যমে এর জবাব দিতে হবে। ধনিক শ্রেনীর সব সরকারই এ ধরনের কাজ করে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সরকার দিন বদল করতে পারে নাই কিন্তু দাম বদল করে জনগনের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে।
জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, স্বল্প মেয়াদে রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ প্লান্ট মেরামত ও নবায়ন করলে ২০ ভাগের ১ ভাগ দামে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল প্লান্ট থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব হ’ত। আইএমএফএর কাছে থেকে তিন বছরে ঋন নেবার শর্তপূরন করতে গিয়ে তেল-বিদ্যুতের যেই পরিমান দাম বাড়ানো হচ্ছে সেই পরিমান অর্থ প্রবাসীরা প্রতি মাসে পাঠাচ্ছে।
প্রকৌশলী বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, মাত্র শতকরা ২০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল থেকে। কিন্তু তার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যায়ের শতকরা ৭৫ ভাগ খরচ হচ্ছে। লুটেরা গোষ্ঠীর আধিপত্য থেকে বের হতে না পারলে এর থেকে মুক্তি নেই।
অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি অপরাধীদের হাত থেকে জ্বালানি খাতসহ বাংলাদেশকে মুক্ত করতে জ্বালানি অপরাধীদের গণট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। জ্বালানি খাতকে বেসরকারি করনের মাধ্যমে লুন্ঠনের কারনেই দাম বাড়ছে।
প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা বলেন, রিফাইনারির ক্ষমতা স¤প্রসারন না করায় অপরিশোধিত তেল আমদানির অনুপাত বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে ভর্তুকী বাড়ছে আরো বেশি। তেলের যতোটা দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তার চাইতে বেশি বাড়ছে কৃষি উৎপাদনসহ অন্যান্য ব্যয়। এতে জনগণের জীবন দুর্বিসহ হচ্ছে।
শুভ কিবরিয়া বলেন, ‘দায়মুক্তি আইন জারি করেই সরকার জনস্বার্থবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে।
জোনায়েদ সাকী বলেন, এই আন্দোলন আমাদের জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।
বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, রামপাল ও ফুলবাড়ীতে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হচ্ছে।
১১ জানুয়ারি সকালে পুরানো পল্টানের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, মহসিন শস্ত্র পানি, সেকান্দার আলী, রাগিব আহসান মুন্না, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, নাসির উদ্দীন নাসু, আবু তাহের, শামিম ইমাম, মহিন উদ্দিন চৌধুরী লিটন, মোশাহিদ আহমেদ প্রমুখ।