?> গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির দাবি ও কর্মসূচি « NCBD – National Committee of Bangladesh

Friday, April 9th, 2010

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির দাবি ও কর্মসূচি

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে আজ ৯ এপ্রিল ২০১০ সকাল ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সূচনা বক্তব্য রাখেন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং বিডি রহমতউল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন- নুর মোহাম্মদ, বিমল বিশ্বাস, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, মাহমুদুর রহমান বাবু, নজরুল ইসলাম, এড. আবদুস সালাম, আবদুর রশিদ শিকদার, শহিদুল ইসলাম সবুজ, মহিনউদ্দীন চৌধুরী লিটন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বর্তমানে যে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট চলছে তার সমাধান এর জন্য আমরা স্বল্পমেয়াদে যে পথগুলো গ্রহণের দাবি জানাই সেগুলো হল- তিতাস ও হবিগঞ্জের মতো সমৃদ্ধ গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলন বৃদ্ধি, * পেট্রোবাংলার কর্তৃত্বাধীন যে ১২টি গ্যাসকুপ এখন বন্ধ সেগুলো চালু করা, * বিদেশি কোম্পানিগুলোর হাতে যেসব গ্যাসব্লক আছে তার অনেকগুলোতে এখনও অনুসন্ধান ও উত্তোলন করা হয়নি। নির্দিষ্ট মেয়াদে তা করতে তাদের বাধ্য করা নয়তো চুক্তি বাতিল করা, * গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিবহণ লাইন মেরামত ও নবায়ন করা, * বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট মেরামত ও নবায়নে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ, * রাষ্ট্রীয় খাতে অন্য সকল বিদ্যুৎ প্লান্ট জরুরী ভিত্তিতে মেরামত ও নবায়ন করা, * কমদামে বিদ্যুৎ উৎপাদন পাবার জন্য এসব প্ল্যান্টে গ্যাস সরবরাহে অগ্রাধিকার প্রদান, * জরুরী ভিত্তিতে ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুযোগ দান, * নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য জাতীয় সংস্থাগুলোকে ক্ষমতা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ দান।

মধ্যদীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী সমাধানের জন্য- জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবির বাস্তবায়ন করে ‘পিএসপি ২০০৮’ ও ‘ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প’ ধরনের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সকল কর্মসূচি বাতিল ও স্থলভাগে পিএসসি স্বাক্ষরের পাঁয়তারা সহ বহুজাতিক সংস্থার স্বার্থে সব অপতৎপরতা বন্ধ করা। এসব তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ‘খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধকরণ আইন’ পাশ করা, শতভাগ মালিকানা, রফতানি নিষিদ্ধ করণ, জাতীয় সক্ষমতা নিশ্চিত করে নতুন নীতিমালার অধীনে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন নিশ্চিত করা, কয়লা উত্তোলন বা সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য বিশ্বব্যাপী যেসব পদ্ধতি আছে তার মধ্যে বাছাই করবার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অমূল্য পানি সম্পদ, আবাদী জমি ও জনবসতি বিবেচনা করতে হবে। এসব বিবেচনায় গ্যাস রূপান্তর করে কয়লার সর্বোত্তম ব্যবহার করলে এই সম্পদের সবচাইতে ফলপ্রসূ ব্যবহার সম্ভব হবে। কেননা এতে মাটি, পানি ও জনবসতির কোনকিছুর অপূরনীয় ক্ষতি না করেও কয়লা সম্পদ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজে লাগানো যাবে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করবার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎস ব্যবহারে প্রয়োজনীয় নীতিপ্রণয়ন, সমর্থনদান ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, উপরোক্ত পথে অগ্রসর হবার জন্য যেসব জাতীয় প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও কয়লাসহ খনিজ সম্পদ সম্পর্কে নতুন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান করা, জ্বালানী মন্ত্রণালয়কে দুর্নীতিবাজ ও বহুজাতিক কোম্পানির রাহু থেকে মুক্ত করে জাতীয় সক্ষমতা বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।

 

উপরোক্তদাবিবাস্তবায়নেরলক্ষ্যেকর্মসূচিরমধ্যেরয়েছে

* আগামী ১২ এপ্রিল বিকেল ৪টায় মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল,

* ১৮ এপ্রিল বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়,

* ২০ এপ্রিল থেকে ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে পদযাত্রা এবং দেশের সর্বত্র সভা সমাবেশ,

* ৩০ এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবির সমর্থনে গণস্বাক্ষরের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হবে,

* ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এসব দাবিদাওয়া নিয়ে সরকার সঠিকপথে অগ্রসর না হলে গণ ট্রাইব্যুনালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।