?> গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের আশু সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবী « NCBD – National Committee of Bangladesh

Wednesday, March 31st, 2010

গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের আশু সমাধানে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবী

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক বিবৃতিতে বলেছেনÑ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট বর্তমানে এক অসহণীয় অবস্থায় পৌঁছেছে, দেশের অর্থনীতি আজ চরমভাবে বিপর্যস্ত। অথচ কিছু নতিবৃহৎ আকারের উদ্যোগ গ্রহণ করলেই এই সংকটের দ্রুত সমাধান সম্ভব ছিল। সন্দেহ হয় জনগণের জীবন অতিষ্ঠ করে তা লাঘব কারার নাম করে জ্বালানি সম্পদের উপর বিদেশি কোম্পানির কর্কৃত্ব উচ্ছমাত্রায় বৃদ্ধির জন্য এই সংকট পরিকল্পিতভাবে জিইয়ে রাখা হচ্ছে। যে কয়েকটি পদক্ষেপ নিলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের আশু সমাধান সম্ভব সেগুলো হ’ল:

১.    তিতাস ও হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করা;
২.    নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য জাতীয় সংস্থাগুলোকে কর্তৃত্ব ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দান;
৩.    পেট্রোবাংলার কর্তৃত্বাধীন ১২টি বন্ধ কূপ চালু করার জরুরী উদ্যোগ গ্রহন করা;
৪.    বিদেশি কোম্পানির হতে আটকে থাকা গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে অনুসন্ধান ও উত্তোলন কাজ জোরদার করতে কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা;
৫.    গ্যাস ও বিদ্যুৎ পরিবহন লাইন মেরামত ও নবায়ন করা।
৬.    বড়পুকুরিয়ায় ইতিপূর্বে স্থাপিত ২*১২৫ মে.ওয়াট প্লান্ট ভালোভাবে মেরামত করে চালু করা ও নতুন প্রস্তাবিত পাওয়ার প্লান্ট বসানোর জন্য জরুরী উদ্যোগ নেওয়া;
৭.    আমদানীকৃত কয়লার ভিত্তিতে চট্টগ্রাম ও খুলনায় প্রস্তাবিত পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনে জরুরী উদ্যোগ নেওয়া;
৮.    সুড়ঙ্গ অথবা পরিবেশ অনুকূল অন্য পদ্ধতিতে কয়লা তোলার জন্য বিভিন্ন আবি®কৃত কয়লাখনি অঞ্চলে অবিলম্বে কয়লা উৎপাদন ও একই স্থানে বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের ব্যবস্থা করা।

এই কাজগুলো তেমন ব্যয়-বহুলও নয়। এগুলোর জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র সরকারের সদিচ্ছা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। আমরা সরকারের কাছে দাবী জানাই বিদেশি কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার অপতৎপরতা থেকে সরে এসে অবিলম্বে উপরোক্ত উদ্যোগগুলো গ্রহণ করবেন এবং জনজীবন ও অর্থনীতিকে অচল অবস্থা থেকে রক্ষা করবেন।

আমরা একই সঙ্গে আরো দাবী জানাচ্ছি যে, দীর্ঘ মেয়াদে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট সমাধান এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার জন্য সরকার জ্বালানি সম্পদের উপর শতভাগ মালিকানা বজায় রাখবেন, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধ করে আইন পাস করবেন এবং জাতীয় সক্ষমতা বিকাশকে কেন্দ্রে রেখে সমন্বিত জ্বালানি নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবেন।

আজকের খবরের কাগজে দেখলাম, মাননীয় অর্থমন্ত্রী উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উৎপাদন এর পক্ষে জোর সুপারিশ করে সম্পুর্ন গনস্বার্থবিরোধী অবস্থান নিয়েছেন। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে মানুষের জীবন জীবিকা পরিবেশের বিরাট সর্বনাশ হবে, শুধু তাই নয়, কয়লা রফতানি বাধ্যতামূলক হবে, আবার উৎপাদিত কয়লার পরিমানে বাংলাদেশের হিস্যা সুড়ঙ্গ পদ্ধতির উৎপাদনের পরিমানের তুলনায় অর্ধেক হবে।