
Saturday, February 25th, 2017
১৮ মার্চ বিকল্প মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সুন্দরবন উপকূলীয় মহাসমাবেশ
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির দেশব্যাপী রাজপথ/সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, আজ সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী শহীদ মতিউল কাদের চত্বর-প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, টিপু বিশ্বাস, বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাজ্জাদ জহির চন্দন, মোশাররফ হোসেন নান্নু, মোশরেফা মিশু, বহ্নি শিখা জামালী, ফিরোজ আহমেদ, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, শওকত হোসেন আহমেদ, নাসিরউদ্দিন নাসু, মাসুদ খান, শামসুল আলম, শিল্পী কফিল আহমেদ, শিল্পী অরূপ রাহী, আমিরুন নুজহাত মনিষা, তুহিন কান্তি দাস প্রমুখ। সমাবেশটি পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর নেতা জুলফিকার আলী ও আকবর খান।
সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্প, গ্যাস বিদ্যুতের দামবৃদ্ধি, উন্নয়নের নামে ঋণ ও দুর্নীতি নির্ভর প্রকল্প এসবই পরস্পর সম্পর্কিত। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রণালয় এখন কার্যত দেশি-বিদেশি কোম্পানীর আস্তানায় পরিণত হয়েছে। দেশি-বিদেশি লুটেরা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সুরক্ষা প্রাণের সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে সরকারের দ্বিধা নেই।
সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে কোন দ্বিধা নেই। বিদেশি কোম্পানির স্বার্থরক্ষা করতে বাপেক্সকে পঙ্গু করতে কোন দ্বিধা নেই।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল, গ্যাস অনুসন্ধানে জাতীয় সক্ষমতা কাজে লাগানোসহ জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করে দেশের সুলভ পরিবেশবান্ধব, টেকসই জ্বালানী ও বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।
সমাবেশে আগামী ১৮ মার্চ বাংলাদেশের জ্বালানী নিরাপত্তা টেকসই সমাধানের জন্য সরকারের মহাপরিকল্পনার বিপরীতে জনস্বার্থে বিকল্প মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করার ঘোষণা দেয়া হয়। একইসঙ্গে আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় মহসমাবেশের কর্মসূচি দেয়া হয়।
চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশের হামলায় জাতীয় কমিটির প্রায় দশজন আহত হয় এবং ব্যানার কেড়ে নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে বাধা প্রদান করে।
একইসঙ্গে খুলনায় কর্মসূচি পালনের সময় পুলিশ বাধা প্রদান করলেও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচি পালন করা হয়। সারাদেশে জাতীয় কমিটির কর্মসূচিতে পুলিশসহ সরকার দলীয় মাস্তানদের হামলা ও বাধা অব্যাহত। পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক হামলাসহ বাধার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।