Monday, October 3rd, 2016
দমন পীড়ন বন্ধ করে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সকল প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল কর
স্বতঃস্ফূর্ত তরুণদের উদ্যোগে সুন্দরবন বাঁচাও শ্লোগানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাইকেল র্যালিতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডাদের হামলা ও বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঢাকা মহানগরের সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম ফজলুর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, যুক্তিতে পরাজিত হয়ে সরকার শক্তি প্রয়োগ ও দমন পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। দমন পীড়ন করে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্পের আন্দোলন থেকে সচেতন দেশপ্রেমিক জনগণকে পিছু হটানো যাবে না। বিজ্ঞাপনী সংস্থার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন রকম মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে সুন্দরবনবিনাশী প্রকল্পের পক্ষে জনমত গঠন করা সম্ভব হবে না। যত বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে ততই আন্দোলনের পক্ষে গান, কবিতা, ছবি ও সাইকেল র্যালিসহ নিত্য নতুন আন্দোলনের পথ আবিষ্কৃত হচ্ছে। সারাদেশে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে বরিশাল, রংপুর, বগুড়া ও খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় হামলা-ভয়ভীতি দেখানোর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। এক মাস হয়ে গেলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা দিলীপ রায়কে এখনো ৫৭ ধারায় আটক রাখা হয়েছে যা আইনসঙ্গত নয়।
সমাবেশে ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, সাইকেল কোনো আগ্নেয়াস্ত্র নয়, কিন্তু সেই সাইকেল র্যালিতে পুলিশের জলকামান নিক্ষেপ আমাদেরকে অবাক করেছে। যে জলকামান অস্ত্রধারীদের উপরে প্রয়োগ করা হয় সেই জলকামান কেন নিরীহ সাইকেল র্যালিতে প্রয়োগ করা হল?
সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর আলম ফজলু বলেন, সরকারের এই ন্যক্কারজনক ভূমিকা সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনের নায্যতা আরো জোরালোভাবে প্রমাণ করেছে। যুক্তির জোরে নৈতিক সাহসে ও সুন্দরবন রক্ষা তথা দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষার দায়বোধ থেকে আন্দোলনের যে স্বতঃস্ফূর্ত জোয়ার তৈরি হয়েছে সেটাকে দমন পীড়ন, ভয়ভীতি এবং অপপ্রচার দিয়ে থামানো যাবে না। অবিলম্বে সারাদেশে আন্দোলনের দমন পীড়ন বন্ধ করে জনগণের পক্ষে দাঁড়ান, রামপাল চুক্তি বাতিল করে সুন্দরবনকে বাঁচান।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাইকেল র্যালির সংগঠক সামান্তা শারমিন, র্যালিতে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা হাসিব মো. আশিক, তৈমুর আলম খান অপু, জুলফিকার আলী, খান আসাদুজ্জামান মাসুম, আবু বক্কর রিপন, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, শহীদুল ইসলাম সবুজ, সীমা দত্ত, মো. হানিফ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।