?> ‘জঙ্গিবাদ যখন ভয়াবহ বিপদ তখন হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় জনমত উপেক্ষা করে সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল চুক্তি কেন’? « NCBD – National Committee of Bangladesh

Saturday, July 30th, 2016

‘জঙ্গিবাদ যখন ভয়াবহ বিপদ তখন হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় জনমত উপেক্ষা করে সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল চুক্তি কেন’?


বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় কমিটির প্রশ্ন:‘জঙ্গিবাদ যখন ভয়াবহ বিপদ তখন হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় জনমত উপেক্ষা করে সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল চুক্তি কেন’?

২০ আগস্ট দেশব্যাপী “অবস্থান কর্মসূচি” ঘোষণা

পুলিশি হামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটির কর্মসূচি নিয়ে সরকারি দলের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা জনগণের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন করতে চাই যে, ‘জঙ্গিবাদ যখন ভয়াবহ বিপদ তখন হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় জনমত উপেক্ষা করে সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল চুক্তি কেন’?
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসিকে নিজের স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থরক্ষায় রাজপথে নামতে দেখছি। এই পথেই দেশবাসিকে জাগ্রত করতে পারলে জঙ্গিবাদবিরোধী সংগ্রামও অগ্রসর হবে।
আজ ৩০ জুলাই ২০১৬ বিকেল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সংগঠক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা ও টিপু বিশ্বাস। এ সময় সৈয়দ আবু জাফর আহমদ, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, রাজেকুজ্জামান রতন, কামরুল আহসান, মোশরেফা মিশু, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মোশারেফ হোসেন নান্নু, নাসিরুদ্দীন নসু, শামছুল আলম, মাহিন উদ্দিন লিটন, মাসুদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

30july

সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, গত ২৮ জুলাই আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে ‘খোলা চিঠি’ দিয়েছি, তাতে যুক্তি দেখিয়ে বলেছি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে কীভাবে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে। প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক সরকারের রীতি-নীতি অনুসরণ করলে উচিৎ ছিল জনগণের কথা শোনা। কিন্তু এটি না করে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হল, আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করা হল।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার নির্যাতন করে জনগণকে আন্দোলন থেকে বিরত করা যাবে না। ঐ মিছিল থেকেই জনগণ শ্লোগান তুলে জানিয়ে দিয়েছে “লাঠি-গুলি টিয়ার গ্যাস, জবাব দেবে বাংলাদেশ”।
তিনি আরো বলেন, শ্রীলংকাও ২০০৬ সালে এরকম একটি চুক্তি করেছিল। ঐ দেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় গত মাসে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন, জনগণ চায় না তাই তারা ঐ চুক্তি বাতিল করছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শ্রীলংকা পারলে আমরা পারব না কেন?
সমাবেশ থেকে আগস্ট মাসজুড়ে উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ এবং ২০ আগস্ট ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ও সকল জেলা-উপজেলায় দিনব্যাপী “অবস্থান কর্মসূচি” ঘোষণা করা হয়।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।