Wednesday, November 27th, 2013
ফুলবাড়ি কয়লা খনি প্রকল্প বিষয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গত ২৪ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে “ফুলবাড়ী কয়লা খনি উন্নয়ণ: কৌশল পরিবর্তন করে সুফল আসার দাবী জিসিএমের” শীর্ষক একটি প্রতারণামূলক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । সংবাদ দাতার নাম গোপন রেখে ‘বিশেষ প্রতিনিধি’ শব্দটি কথাটি ব্যাবহার করা হয়েছে। কোন ধরণের যাচাই বাছাই না করে, শুধু একপক্ষের মিথ্যা দাবী যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে তাতে এই কথিত সংবাদটি জিসিএম এর নিয়মিত কমিশনভোগী ‘বিশেষ প্রতিনিধি’র বলেই প্রতীয়মান হয়।
এশিয়া এনার্জি অর্থাৎ জিসিএম গত ৩১ অক্টোবর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দাবী করে “খনি এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোম্পানির সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। খনি এলাকায় প্রকল্পের প্রতি জনসমর্থন ক্রমেই বাড়ছে।” জিসিএম ফুলবাড়ী থেকে বিতাড়িত হয়ে গত ২০০৬ সাল থেকেই এইরকম ভুয়া দাবী বিভিন্ন সময়েই করে আসছে লন্ডনের শেয়ার বাজারের ফুলবাড়ী কয়লা খনি প্রকল্প দেখিয়ে চলমান শেয়ার ব্যাবসা চাঙ্গা রাখার জন্য। কিন্তু জিসিএম এইরকম দাবী করলেই কি সেটা সংবাদ হয়ে যেতে পারে? তাও আবার প্রায় ১মাস পর? কোন ধরণের যাচাই বাছাই না করে, ফুলবাড়ীর জনপ্রতিনিধি কিংবা ফুলবাড়ী উন্মুক্ত কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলনকারী কোন সংগঠনের মতামত না নিয়েই সেই দাবী সংবাদ আকারে ছাপিয়ে দেয়া কোন ধরণের সাংবাদিকতা?
উক্ত ‘সংবাদে’ ‘দিনাজপুর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন ফ্রন্ট’ এর বরাত দিয়ে ৫০ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহের একটি দাবীও প্রকাশ করা হয়েছে এবং তার পক্ষে’ বিরামপুর, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের একটা যৌথ বিবৃতির বক্তব্যও ছাপা হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলো, আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানের বিবৃতি প্রকাশ করা হলেও এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্য নেয়ারই প্রয়োজন বোধ করেননি ঐ ‘বিশেষ প্রতিবেদক’- যদিও কয়লা খনি প্রকল্পটি দুই তৃতীয়াংশই ফুলবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত এবং ফুলবাড়ীর জনগণের তীব্র বিরোধীতাতেই এশিয়া এনার্জি সেখানে উন্মুক্ত কয়লা খনি করতে পারছে না! বাস্তবতা হলো, ফুলবাড়ী অঞ্চলে কয়লা খনির পক্ষে স্বাক্ষর সংগ্রহ তো দূরের কথা জনগণের বিরোধীতার কারণে কয়লা খনির পক্ষে কোন ধরণের তৎপরতাই এশিয়া এনার্জি ও তার দালালদের পক্ষে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। দিনাজপুর ‘দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল উন্নয়ণ ফ্রন্ট’ একটি স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচী সীমিত আকারে পরিচালনা করেছে বটে তবে সেটা ফুলবাড়ীতে নয়- বিরামপুরে এবং সেই স্বাক্ষর সংগ্রহকর্মসূচীর দাবী হলো বিরামপুর জেলা বাস্তবায়ন যার সাথে ফুলবাড়ী উন্মুক্ত কয়লা খনির কোন সম্পর্কই নেই!
আমরা প্রথম আলোর মতো একটি প্রথম সারির পত্রিকা বলে দাবীদার সংবাদপত্রে এভাবে যাচাই বাছাই না করে, ফুলবাড়ি অঞ্চলের জনগণের কোন মতামত না নিয়ে, ফুলবাড়ী কয়লা খনি প্রকল্প বিষয়ক এরকম মিথ্যা প্রতারণাপূর্ণ সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানাই এবং আশা করি প্রথম আলো এই বিষয়ে যথাযথ খোজ খবর নিয়ে সংশোধনী প্রকাশ করবে।
সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল
আহবায়ক, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, ফুলবাড়ী শাখা, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।
|
জয় প্রকাশ
সদস্য সচিব, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি, ফুলবাড়ী শাখা, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।
|