?> শেভ্রন ও নাইকোর কাছ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ে ১৪ জুন ‘মাগুড়ছড়া-টেংরাটিলা দিবস’ পালন করুন « NCBD – National Committee of Bangladesh

Thursday, June 13th, 2013

শেভ্রন ও নাইকোর কাছ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়ে ১৪ জুন ‘মাগুড়ছড়া-টেংরাটিলা দিবস’ পালন করুন

১৯৯৭ সালের ১৪ জুন সিলেটের ১৪ নম্বর ব্লকের সুরমা বেসিনে মাগুড়ছড়ায় ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে তদন্ত কমিটির রক্ষণশীল হিসাবেও গ্যাসসম্পদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৪৫ বিলিয়ন ঘনফুট। এছাড়া পরিবেশ এর যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দীর্ঘমেয়াদের এবং পুরোটা পরিমাপযোগ্য নয়। ১৯৯৯ সালে ইউনোক্যাল নামে আরেকটি মার্কিন কোম্পানির সাথে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম বিনিময় করে অক্সিডেন্টাল চলে যায়। মাগুড়ছড়ার ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কোন ফয়সালা না করেই পরবর্তীকালে ইউনোক্যাল-এর ব্যবসা গ্রহণ করেছে আরেকটি মার্কিন কোম্পানি শেভরন। এখন এই কোম্পানির কাছ থেকেই আমাদের পাওনা আদায় করতে হবে।

টেংরাটিলা নামে পরিচিত ছাতক গ্যাসফিল্ডে ২০০৫ সালে ৭ জানুয়ারি ও ২৪ জুন পরপর দুটো বিস্ফোরণ ঘটে। কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর অদক্ষতা ও দায়িত্বহীনতার জন্যই এই ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। পুরো গ্যাসক্ষেত্র নষ্ট হলে পেট্রোবাংলার প্রতিবেদন মতে তার পরিমাণ ৩০৫.৫ বিসিএফ আর বাপেক্স-নাইকো’র রিপোর্ট মতে ২৬৮ বিসিএফ।

গড় হিসাব বিবেচনা করলে মাগুড়ছড়া ও ছাতক টেংরাটিলার বিস্ফোরণগুলোতে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত প্রমাণিত সর্বমোট গ্যাস মজুতের মধ্যে কমপক্ষে প্রায় ৫৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ধ্বংস হয়েছে। মাগুড়ছড়া ও টেংরাটিলায় শুধুমাত্র গ্যাস সম্পদের ক্ষতির হিসাবে মার্কিন ও কানাডার কোম্পানির কাছে আমাদের পাওনা দাঁড়ায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। আমরা যদি দীর্ঘমেয়াদে জীববৈচিত্র বিপর্যয়সহ পরিবেশ ক্ষতি বিবেচনা করি, যদি মানবিক ক্ষতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিবেচনা করি, যদি এই গ্যাস সম্পদের অভাবে বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের হিসাব যোগ করি তাহলে ক্ষতির পরিমাণ আরও  অনেক বাড়বে। উল্লেখ্য যে, এই দুটো ক্ষেত্রে যে পরিমাণ গ্যাস নষ্ট হয়েছে তা দিয়ে বর্তমান হিসাবে প্রায় দুই বছরে সারাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ছিল।

মার্কিন কোম্পানি শেভ্রন ও কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায় করতে কোনো সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। উল্টো তাদেরকে নানারকম ছাড়, ভর্তুকি ও সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আমরা এই ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করে তা জ্বালানী খাত সহ দেশের উন্নয়নে ব্যবহার করতে জোর দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে এই অর্থ আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিকভাবে উদ্যোগ নেবার দাবি জানাচ্ছি। আমরা মার্কিন ও কানাডীয় দুই কোম্পানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে ১৪ জুন দেশব্যাপী ‘মাগুড়ছড়া-টেংরাটিলা দিবস’ পালনের আহবান জানাচ্ছি।