Tuesday, January 1st, 2013
ভ্রান্তনীতি ত্যাগ করলে এবং দুর্নীতির প্রশ্রয় না দিলে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক বিবৃতিতে ৩০ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে জাতীয় কমিটির শরীক বাম রাজনৈতিক দলগুলোর জ্বালানী মন্ত্রনালয় ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সরকারের ভ্রান্ত নীতি এবং আর্থিক দুর্নীতির কারণে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকী বাড়ছে, ঋণ বাড়ছে এবং এসব ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর জন্য সরকার যুক্তি তৈরী করছে। রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎপ্লান্ট নবায়ন ও মেরামত করলে পায় ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হ’ত। তাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ পড়ত দুই টাকার মত। সেই কাজ না করে সরকার ৮ গুণ বেশি খরচে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের পথে গেছে। এতে কতিপয় গোষ্ঠী বিপুলভাবে লাভবান হয়েছে। কিন্তু সামগ্রীক অর্থনীতি ও দেশের জনগণ উত্তরোত্তর ব্যয় বৃদ্ধির চাপে পড়েছে। আমরা বার বার প্রশ্ন করেছি, জনগণ কেন কতিপয় দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর মুনাফা লুন্ঠনের জন্য দাম বৃদ্ধির ভার বহণ করবে।
সরকারের ভ্রান্ত নীতি এবং আর্থিক দুর্নীতির জন্য তেল গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়বে আর এর প্রতিবাদ করতে গেলে সরকার প্রতিবাদকারীদের উপর বর্বর হামলা চালাবে এটা কোনোভাবেই জনগণ মেনে নেবে না। গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় কমিটির শরীক কয়েকটি রাজনৈতিক দলের এরকম কর্মসূচীতে পুলিশী বর্বর হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে সৈকত মল্লিক নামে এক ছাত্র সংগঠকের পা ভেঙ্গে গেছে। আমরা সরকারের এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা অবিলম্বে লুটেরাদের স্বার্থে তেল-গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সকল অপতৎপরতা বন্ধ করে লঘু মুল্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ প্লান্ট মেরামত ও নবায়ন, গ্যাস রফতানিমূখী চুক্তি বাতিল করে গ্যাসভিত্তিক বৃহৎ বিদ্যুৎপ্লান্ট নির্মাণ সহ জাতীয় কমিটির ৭ দফা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবী জানাই।