?> সম্পদ লুটপাট ও এশিয়া এনার্জির স্বার্থ রক্ষায় কয়লানীতির সংশোধনী দেশবাসী মানবে না « NCBD – National Committee of Bangladesh

Monday, March 3rd, 2008

সম্পদ লুটপাট ও এশিয়া এনার্জির স্বার্থ রক্ষায় কয়লানীতির সংশোধনী দেশবাসী মানবে না

তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সভায় স¤প্রতি প্রধান উপদেষ্টার জ্বালানী সম্পদ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. ম. তামিম কয়লানীতি পুনর্বিবেচনায় যে কথা বলেছেন, তার উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সম্পদ লুটপাট, এশিয়া এনার্জির স্বার্থ রক্ষা বা জনগণ প্রত্যাখ্যাত ফুলবাড়ী কয়লা প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে  প্রস্তাবিত কয়লানীতির কোন সংশোধন দেশবাসী মেনে নেবে না। সভায় বলা হয় কয়লানীতিতে জনগণের শতভাগ মালিকানা, জাতীয় সংস্থার কর্তৃত্বে সম্পদ উত্তোলন, “মুনাফার নয় জনগণের স্বার্থে সম্পদের ব্যবহার” – এই লক্ষ্যে নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় শর্ত পূরণ না করায় এশিয়া এনার্জির পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন না হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলা হয়, এর আগে বিশেষজ্ঞ কমিটি এশিয়া এনার্জির ডেভেলপমেন্ট প্লানকে অবৈধ এবং প্রকল্পকে জাতীয় স্বার্থবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এদের কার্যক্রমের কোন আইনগত ভিত্তি নেই, সেই কোম্পানি সারা দেশে বিশেষত উত্তরবঙ্গে দুর্নীতি ছড়িয়ে একটি ধ্বংসযজ্ঞের প্রকল্পকে উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে হাজির করছে। সভায় অভিলম্বে এদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও এশিয়া এনার্জিকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।

আজ ৩ মার্চ দুপুরে গ্রীণ রোডস্থ জাতীয় কমিটির আহ্বায়কের কার্যালয়ে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক আকমল হোসেন, ড. শামসুল আলম, নূর মোহম্মদ, সিপিবির মোর্শেদ আলী, রুহিন হোসেন প্রিন্স, ওয়ার্কার্স পার্টির নুরুল হাসান, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ন্যাপের মো. ইসমাইল হোসেন, মজদুর পার্টির এ্যাড. আব্দুস সালাম, শামসুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, তাসলিমা আখতার, ভাসানী পরিষদের প্রকৌশলী ম. এনামুল হক, এনামুল লতিফ, জাতীয় কমিটির সংগঠক মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জনগণকে না জানিয়ে ও সম্মতি না নিয়ে গোপনে সমুদ্রে গ্যাস উত্তোলনে দরপত্র আহ্বানে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, সম্মতি না নিয়ে সমুদ্রে বা ভূমিতে জাতীয় সম্পদ নিয়ে কোন চুক্তি করা যাবে না।

সভায় বলা হয়, অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় এ ধরণের চুক্তির মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুটপাট হয়েছে ও হচ্ছে, যার বোঝা দেশবাসীকেই টানতে হচ্ছে। সভায় এসব খাতের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে হত্যার হুমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, এসব অপশক্তি জনগণের কণ্ঠ স্তব্ধ করে জাতীয় সম্পদ লুটপাটের পথকে সহজ করতে চাইছে। স¤প্রতি এই অপশক্তি পাবর্তীপুরে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে জাতীয় কমিটি আয়োজিত সভা বন্ধ করতে না পেরে সভা পণ্ড করার পথ বেছে নিলেও জনগণের প্রতিরোধে ওই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

সভায় জাতীয় সম্পদ রক্ষা ও জাতীয় স্বার্থে সর্বোত্তম ব্যবহারের দাবিতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।