Sunday, May 21st, 2017
ভয়ভীতি দেখানোর বৃথা চেষ্টা না করে অবিলম্বে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করুন
গত ১৯ মে ২০১৭ জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে খুলনা শহরের গল্লামারি, সাঁচিবুনিয়া, বটিয়াঘাটা, সুন্দরবন নিকটবর্তী চালনা বন্দর এলাকায় নির্মাণাধীন রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারনে সম্ভাব্য পরিবেশ দূষণ, ভূমিধ্বস সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অনুসন্ধান এবং স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করার লক্ষে একটি জনসংযোগ পরিচালনা করে।
গল্লামারিতে পথসভা ও মতবিনিময় শেষে দাকোপ উপজেলার চালনা বন্দরে পৌঁছানোর সময় পথিমধ্যে একই ধরনের পথসভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয় সাঁচিবুনিয়া ও বটিয়াঘাটা বাজারে। পথসভায় বক্তৃতা প্রদান করার সময় সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশের চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সাথে নিয়ে সভাস্থল ঘিরে ফেলে এবং বক্তব্য প্রদানে বারবার বাধা প্রদান করতে থাকে। চালনায় জাতীয় কমিটির পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে পুলিশ অনুমতি প্রদান না করায় সেখানে পথসভা এবং সংক্ষিপ্ত কর্মীসভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জাতীয় কমিটির দলটি চালনা পৌছানোর সময় দেখতে পায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পশুরনদীতে ড্রেজিং করার ফলে দাকোপ উপজেলার বহুজায়গায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এবং বহু কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
চালনা পৌছার পর উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনগন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সাথে দেখা করতে আসলে পুলিশ আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখানে কোন ধরনের ইনডোর এবং আউটডোর সমাবেশ করা যাবে না। প্রচারপত্র বিলি করার জন্য ও প্রশাসনের অনুমতি নেয়া লাগবে। এমনকি একসাথে পায়ে হাঁটাও নিষেধ। উপস্থিত ডিউটি অফিসার ও অন্যান্য পুলিশ সদস্য জনগণকে লক্ষ করে ক্রসফায়ার করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
বিভিন্ন পর্যায়ে “উপরের নির্দেশে” পুলিশি হয়রানি ও বাঁধা প্রদানের মাধ্যমে সরকার প্রমান করেছে যে তারা সত্যের শক্তির কাছে পরাজিত। জ্ঞান বিজ্ঞান এমনকি কান্ডজ্ঞান থেকে যেখানে স্পষ্ট যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন বিনাশের মাধ্যমে পুরা বাংলাদেশের জন্য মহা-বিপর্যয় সৃষ্টি করবে, সেখানে দেশী-বিদেশী কতিপয় গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে সরকার চরম অযৌক্তিক ও স্বৈরতান্ত্রিক ভুমিকা গ্রহন করেছে। ভয়ভীতি দেখানোর বৃথা চেষ্টা না করে আমরা অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ সুন্দরবন বিনাশী সকল অপতৎপরতা বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।