?> ‘চলো চলো ঢাকা চলো’- কর্মসূচী উপলক্ষে সংবাদ সন্মেলনে পঠিত মূল বক্তব্য « NCBD – National Committee of Bangladesh

Tuesday, November 22nd, 2016

‘চলো চলো ঢাকা চলো’- কর্মসূচী উপলক্ষে সংবাদ সন্মেলনে পঠিত মূল বক্তব্য

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
শুভেচ্ছা নেবেন।
আপনারা জানেন, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং তার অনুসরণে শতাধিক বাণিজ্যিক বনগ্রাসী-ভূমিগ্রাসী প্রকল্প ঘিরে ফেলেছে সুন্দরবন। বাংলাদেশ অংশে ৩৫ লক্ষ মানুষের জীবিকা, উপকূলীয় অঞ্চলের ৫ কোটি মানুষের জীবন নিরাপত্তা, অসংখ্য প্রাণের বসতি, প্রাণবৈচিত্রের অতুলনীয় সম্ভার এই সুন্দরবনকে গিলে খেতে চায় দেশ বিদেশের লুটেরা গোষ্ঠী। বিশ্ব ঐতিহ্য, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সুরক্ষা প্রাচীর সুন্দরবন এখন তাই মহাবিপদের মুখে। যেহেতু সুন্দরবন বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন, সেহেতু বাংলাদেশের মানুষ কোনোভাবেই এর বিনাশ মেনে নিতে পারে না।

আমরা বলি, মহাপ্রাণ সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে অতএব সুন্দরবনকে রক্ষা করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব. সর্বজনের অবশ্য কর্তব্য। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের সাথে অন্যান্য বনগ্রাসী প্রকল্প ও অপতৎপরতা বন্ধের জন্য ‘সুন্দরবন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন আমাদের অন্যতম দাবি। তার পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংকট সমাধানের জন্য আমরা ৭ দফা দাবিতে একটি রূপরেখাও দিয়েছি।

জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাত নিয়ে সর্বনাশা তৎপরতা
দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং গ্যাসসংকটের অজুহাত দিয়েই সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্পসহ বেশ কয়টি জাতীয় স্বার্থবিরোধী বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি,

১.
বাংলাদেশের জাতীয় সক্ষমতা নষ্ট করে বিদেশী কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারের তৎপরতা বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। স্থলভাগ ও সমুদ্রে গ্যাস সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতীয় সংস্থার বিকাশ অপরিহার্য। কিন্তু একদিকে স্থলভাগের গ্যাস ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জাতীয় সংস্থাকে দুর্বল করে দেয়া হচ্ছে অন্যদিকে সমুদ্রের গ্যাস সম্পদ বিনা দরপত্রে জাতীয় স্বার্থবিরোধী শর্তে বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। সমুদ্রের গ্যাস সম্পদ ভবিষ্যৎ জ্বালানী নিরাপত্তা এবং সুলভে পরিবেশ বান্ধব উপায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশের একটি বড় অবলম্বন। কিন্তু এমনভাবে চুক্তি করা হচ্ছে যে, এই গ্যাস সম্পদ বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও বিদ্যুতায়নের কোন কাজে লাগবে না উপরন্তু বোঝা হয়ে যাবে। সরকার একদিকে গ্যাসের সংকট বলে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল প্রকল্প, দেশধ্বংসী রূপপুর প্রকল্প, মানুষ খুনের উপর বাঁশখালী প্রকল্প করছে অন্যদিকে গ্যাস সম্পদ এভাবে বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দিচ্ছে। অতি সম্প্রতি বহুগুণ বেশি দামে, ব্যর্থ এবং ব্যয়বহুল বলে প্রমাণিত রাশিয়ান কোম্পানি গাজপ্রমকে বাংলাদেশের গ্যাসেক্ষেত্রে কর্তৃত্ব বৃদ্ধির অপচেষ্টার বিপরীতে বাপেক্স-কে শক্তিশালী করবার উদ্যোগ গ্রহণের ‘অপরাধে’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সরিয়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ দান সরকারের এই ভূমিকার সর্বশেষ নিদর্শন।

২. মাগুড়ছড়া বিস্ফোরণের ক্ষতিপূরণ বিষয়ে কোনো উচ্চবাচ্য না করে সরকার শেভ্রনকে বিপুল মুনাফা তুলে নিয়ে দেশ ছাড়বার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ১৯৯৭ সালে মার্কিন কোম্পানির হাতে মাগুড়ছড়া বিস্ফোরণ ঘটেছিলো। এতে সরকারি দলিল অনুযায়ীও নষ্ট হয়েছে এমন পরিমাণ গ্যাস যা প্রায় ১ বছর দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের সমান। এর ক্ষতিপূরণ না দিয়ে অক্সিডেন্টাল নিজের লাভ করে নিয়ে আরেকটি মার্কিন কোম্পানি ইউনোকালের কাছে ব্যবসা বিক্রি করে চলে যায়। ইউনোকাল গ্যাস ‘রফতানি’র নামে পাচারের জন্য অনেক দৌড়ঝাঁপ করে, কিন্তু জনপ্রতিরোধের কারণে ব্যর্থ হয়। তারপরও অনেক মুনাফা নিয়ে এটিও ব্যবসা বিক্রি করে চলে যায়। আসে শেভ্রন। এখন শেভ্রন অতিরিক্ত গ্যাস তুলে, লাউয়াছড়ার বিনাশ করে বিপুল মুনাফা পকেটে নিয়ে আরও অর্থ কামাই এর জন্য এই ব্যবসা বিক্রি করে চলে যাবার ব্যবস্থা করছে। আমাদের বক্তব্য হলো, ক্ষতিপূরণ হিসাব করতে হবে যে পরিমাণ অনবায়নযোগ্য গ্যাস তারা নষ্ট করেছে তা বর্তমানে বিশ্ববাজার থেকে আমদানির দাম ধরে। ক্ষতিপূরণ আদায় করে তা জ্বালানী নিরাপত্তা বৃদ্ধির কাজে লাগাতে হবে।

৩. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আমরা ভয়াবহ সব খবর পাচ্ছি। একদিকে বিপুল ঋণনির্ভর এই প্রকল্পের পারমাণবিক বর্জ্যব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো দায়দায়িত্ব নিচ্ছে না কোম্পানি, অন্যদিকে এই প্রকল্পে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে কোম্পানিকে পুরো দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে ভারতীয় কোম্পানিকে। তাদেরকেও দেয়া হচ্ছে দায়মুক্তি। পুরো অস্বচ্ছতা, আর্থিক বোঝা এবং ভয়ংকর জাতীয় বিপদ তৈরি করতে করতে প্রকল্পের কাজ অগ্রসর হচ্ছে।

৪. জালিয়াতি করে জমি ক্রয় ও দখল করে দেশিয় এস আলম গ্রুপ ও চীনা কোম্পানির যৌথ প্রকল্প নেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে। কোনো পরিবেশ সমীক্ষা না করে, জনগণের সাথে কোনোরকম আলোচনা না করে এধরনের প্রকল্প শুরু করা বেআইনী। গত এপ্রিল মাসে এই বেআইনী কাজের বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিবাদ করায় শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী গুলি করেছে, ৪জন নিহত হয়েছেন বহুজন আহত। এই জালিয়াতির সমাধান ও হত্যাকান্ডের বিচার না করে গত ২৫ অক্টোবর বাঁশখালী প্রকল্প এলাকায় ‘নিরাপত্তার দায়িত্ব’ নিয়েছে যৌথবাহিনী।বন্দুকের মুখে লাশের ওপর কোম্পানির মুনাফা নিশ্চিত করবার জন্য রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহারের এটি একটি নমুনা।

৫. কয়েকটি সংবাদপত্রে এরকম খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ফুলবাড়ী কয়লা খনি নিয়ে খুন, দুর্নীতি ও প্রতারণার দাযে অভিযুক্ত এশিয়া এনার্জি বা জিসিএম চুক্তি করেছে চীনের গেঝুবা গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে। সরকারের কাছে আমাদের দু’টো প্রশ্ন, প্রথমত: কোন বৈধ চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে একটি জালিয়াত কোম্পানি বছরের পর বছর লন্ডনের শেয়ার বাজারে বাংলাদেশের কয়লা দেখিয়ে মুনাফা করছে এবং শেয়ার হোল্ডারদের প্রতারণা করছে? দ্বিতীয়ত: সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাংলাদেশের কয়লাখনি নিয়ে কীভাবে এই জালিয়াত কোম্পানি চীনা কোম্পানির সাথে চুক্তি করছে? আমরা ৭ দফার দাবিটি এখানে আবারও পুনব্যক্ত করছি যে, অবিলম্বে এশিয়া এনার্জি বহিষ্কারসহ ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে ফুলবাড়ী খনির নাম বেআইনীভাবে ব্যবহার করে অর্জিত তাদের অর্থ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাধীন বিশেষজ্ঞরা রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবন বিনাশের কারণ হবে বলে মত দিয়ে এই প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ করেছেন। পরপর কয়েকটি সতর্ক বার্তা দেওয়ার পর ইউনেস্কো তার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে একই মত প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে এবং বিশ্বের দেশে দেশে এই প্রকল্প বাতিলের দাবীতে স্বত:স্ফূর্ত সভা-সমাবেশ-মিছিল-গবেষণা-তৎপরতা অভূতপূর্বহারে বিস্তৃত হচ্ছে। আমরা জনগণের শক্তি, বৈজ্ঞানিক তথ্য যুক্তি, দেশ ও মানুষের প্রতি আমাদের দায় সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভর করে এই আন্দোলন পরিচালনা করছি। কিন্তু সরকার সব যুক্তি তথ্য অগ্রাহ্য করে, দেশ ও মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উপেক্ষা করে দেশি বিদেশি মুনাফালোভীদের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে সরকার বিজ্ঞাপনী ভাড়াটে প্রচার ও দমনপীড়নের পথ ধরেছে।

সুন্দরবন রক্ষাসহ জাতীয় কমিটির ৭ দফা আন্দোলনের ওপর অব্যাহত দমনপীড়ন ও হুমকির মুখে গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় কমিটির একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ-এর সাথে সাক্ষাৎ করে সুন্দরবন আন্দোলনে গত কয়েক মাসে সরকারি দমনপীড়ন সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে আগামী ২৪-২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁদের অনুরোধ জানান।

এই সঙ্গে গত কয়েক মাসে সুন্দরবন আন্দোলনে নিপীড়ন হামলা হুমকির তালিকাও কমিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই তালিকায় পুলিশ, ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলা ও নির্যাতনের অনেকগুলো বিবরণ আছে, বিভিন্ন সভা, জমায়েত, আলোচনা সভা, সেমিনারে বাধাপ্রদান ছাড়াও সুন্দরবন আন্দোলন অব্যাহত রাখলে হত্যার হুমকি ইত্যাদির বিবরণ দেয়া হয়েছে।

কমিশন চেয়ারম্যান বরাবর প্রদত্ত আমাদের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘আমরা গত কয়েক বছর ধরে সুন্দরবনসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষার জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সরকারী দল ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে হামলা ও নির্যাতন করা হচ্ছে, মতপ্রকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে, হুমকিসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ছড়িয়ে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। আগামি দিনগুলিতে দেশের স্বার্থে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের মতপ্রকাশ করতে পারি, বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।’

আমরা সরকারকে আবারও বলি, বিজ্ঞাপনী মিথ্যাচার, হামলা হুমকি ও নিপীড়নের তৎপরতা বন্ধ করুন, রামপাল রূপপুর বাঁশখালী নয়, জাতীয় কমিটির ৭ দফাই বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান এবং টেকসই উন্নয়নের পথ দেখাতে পারে।

আমরা উন্নয়নের নামে প্রাণ ও দেশবিনাশী প্রকল্পের বদলে জনস্বার্থভিত্তিক প্রকল্প, জাতীয় সক্ষমতা বিনাশের বদলে তার বিকাশে, দেশকে ঋণ, দুর্নীতি ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ঠেলে দেবার বদলে টেকসই উন্নয়নের কথা বলি। এইদেশের মালিক এদেশের মানুষ। তাঁদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন করে যেসব প্রকল্প তাকে আমরা উন্নয়ন প্রকল্প বলতে পারি না। আমরা এদেশকে অন্যকোনো দেশ তা ভারত, চীন, রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র যেই হোক না কেনো তাদের পরিত্যক্ত আবর্জনার স্তুপে পরিণত করতে দিতে পারি না, তাদের স্বার্থে এমনকি দেশি লুটেরা দখলদার গোষ্ঠীর স্বার্থে এই দেশকে বিপন্নতার দিকে ঠেলে দেয়ার মুখে নীরব থাকতে পারি না।

এই অবস্থান থেকেই রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী সকল অপতৎপরতা বন্ধ এবং জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আগামি ২৪ নভেম্বর। ঐদিন দেশের সাতটি প্রান্ত থেকে যাত্রা শুরু হবে। খুলনা বিভাগে রামপাল থেকে, রংপুর বিভাগে পঞ্চগড় থেকে, ময়মনসিংহ বিভাগে নেত্রকোণা থেকে, বরিশাল বিভাগে পটুয়াখালি থেকে, রাজশাহী বিভাগে কানসাট থেকে, সিলেট বিভাগে সুনামগঞ্জ থেকে এবং চট্টগ্রাম বিভাগে কক্সবাজার থেকে এই যাত্রা শুরু হবে। এই যাত্রা শেষে আগামি ২৬ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশ শেষে মিছিল করে শহীদ মতিউল-কাদের চত্বরে সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। সর্বজনের স্বার্থে ক্রমবিকশিত এই কর্মসূচিতে দেশের সকল পর্যায়ের মানুষের স্বতস্ফূর্ত সমর্থন আমরা পাচ্ছি। এই সমর্থনকে সক্রিয়তায় পরিণত করেই আমাদের সুন্দরবন ও দেশকে রক্ষা করতে হবে। কেননা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নাই। তাই সুন্দরবন আন্দোলনে বিজয়ী হবারও কোনো বিকল্প নাই।

তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি
মুক্তিভবন। ২২ নভেম্বর ২০১৬।