?> বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রতি জাতীয় কমিটির দাবি: সুন্দরবন বাঁচাতে অবিলম্বে রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করুন « NCBD – National Committee of Bangladesh

Thursday, March 24th, 2016

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রতি জাতীয় কমিটির দাবি: সুন্দরবন বাঁচাতে অবিলম্বে রামপাল-ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করুন

আজ সকালে গ্রীণ রোডের জাহানারা গার্ডেনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে কমিটির এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুন্দরবন জনযাত্রা পরবর্তী পরিস্থিতি, শ্যালা নদীতে কয়লার জাহাজডুবিতে সুন্দরবনের ওপর আঘাত, ইউনেস্কো প্রতিনিধিদলের সফর এবং পরবর্তী কর্মসুচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, নুর মোহাম্মদ, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, নজরুল ইসলাম, মাসুদ খান, আকবর খান, রজত হুদা, মফিজুর রহমান লাল্টু, শাসছুল আলম, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সভায় জনযাত্রার বিভিন্ন পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী, কৃষক শ্রমিক, রাজনীতিবিদসহ সকল স্তরের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবন বিনাশী সকল অপতৎপরতা বন্ধের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। সভায় প্রকৌশলী শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সুন্দরবন বিষয়ে সরকারের বৈরী ভূমিকা ও নীতির কারণেই আবারো কয়লাবোঝাই জাহাজ ডুবি ঘটলো। এরজন্য সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’ তিনি শ্যালা নদীতে এসব জাহাজ পরিবহণ বন্ধ নিয়ে সরকার যেনো আর কোন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না করে তার জন্য হুশিয়ারি দেন।

সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে বাংলাদেশ ভারতের জনগণের সংহতির উপর গুরুত্ব দিয়ে এই জনযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ভারতের বিজ্ঞানী, লেখক এবং পরিবশেবাদীদের অভিনন্দন জানানো হয়। সভায় আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘দুই দেশের সরকার যৌথভাবে সুন্দরবন বিনাশী কার্যক্রমে লিপ্ত হয়েছে, এখন দুইদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে।’ সভায় দুইদেশের যৌথ আন্দোলন বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় আশা প্রকাশ করা হয় যে, ইউনেস্কো প্রতিনিধিদল সরকার বা কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ বা প্রভাব থেকে মুক্তভাবে সুন্দরবন বিপর্যয় অনুসন্ধান করবে এবং বিশ্ব ঐতিহ্য রক্ষায় রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ দেশি বিদেশি সকল সুন্দরবন বিনাশী তৎপরতা বন্ধের বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।

সভায় সুন্দরবন রক্ষায় দেশের সকল পর্যায়ের মানুষকে সক্রিয় ভুমিকার আহবান জানিয়ে বলা হয়, ‘সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করে, সুতরাং সুন্দরবন রক্ষা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।’